ফুটবল বিশ্বে ৪৪ বছর বয়সেও দাপট দেখাচ্ছেন ব্রাজিলের অভিজ্ঞ গোলকিপার ফাবিও দেভিসন লোপেজ মাসিয়েল। ১৯৯৭ সালের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের চ্যাম্পিয়ন দলের অংশ ছিলেন ফাবিও, যেখানে ছিলেন রোনালদিনিওয়ের মতো বিশ্বসেরা তারকারাও। যদিও তারকারা আলাদা পথে এগিয়ে গেলেও, ফাবিও তার অনন্য অধ্যবসায়ের মাধ্যমে আজও ফুটবল ইতিহাসে নিজের এক স্বতন্ত্র স্থান তৈরি করেছেন।
বয়স কম হলেও এখনো নিয়মিত ফ্লুমিনেন্স ক্লাবের হয়ে খেলছেন তিনি। ২০২২ সাল থেকে ক্লাবের জার্সি গায়ে ধারন করে ২২২টি ম্যাচ খেলেছেন। চলতি মৌসুমে ৩৫টি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন এবং প্রতিটি ম্যাচে ছিলেন দলের অগ্রণী।
মাত্র কয়েক দিন আগে ক্লাব বিশ্বকাপে পাচুকার বিপক্ষে ফ্লুমিনেন্সের ২-০ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করতে ক্লিনশিট নিয়েছেন ফাবিও, যা দিয়েই তিনি ইতালির কিংবদন্তি গোলকিপার জিয়ানলুইজি বুফনের ৫০৮ ক্লিনশিটের রেকর্ড পেছনে ফেলেছেন। এই নতুন রেকর্ড তার দীর্ঘ ও সফল ক্যারিয়ারের এক বড় সাফল্য।
ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডটি এখন তার দখলে আসার অপেক্ষায়। বর্তমান ম্যাচ সংখ্যা ১৩৭৮, যা শিগগিরই ইংল্যান্ডের পিটার শিলটনের সর্বোচ্চ ১৩৯০ ম্যাচের রেকর্ড ছুঁতে পারে। যদিও শিলটনের মোট ম্যাচ সংখ্যা নিয়ে কিছু বিতর্ক রয়েছে, তবে ফাবিওর রেকর্ড স্পর্শ করা সময়ের ব্যাপার মাত্র।
ফ্লুমিনেন্সের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করে ২০২৬ সাল পর্যন্ত আবদ্ধ আছেন ফাবিও। সেপ্টেম্বরে ৪৫ বছর বয়সে পা রাখার পরও মাঠ মাতানোর ইচ্ছা পোষণ করছেন। তার এই অবিশ্বাস্য ধৈর্য ও পারফরম্যান্স ফুটবল প্রেমীদের জন্য এক অনুপ্রেরণা।
তবে এই রেকর্ড ধরে রাখার লড়াইয়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরও উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ। ৪০ বছর বয়সী পর্তুগিজ মহাতারকা ১২৮৬টি অফিসিয়াল ম্যাচ খেলে নতুন রেকর্ড গড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাই, ফুটবল ইতিহাসের এই লড়াই আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।
১৯৯৭ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ দলের অংশ হয়ে ফুটবল যাত্রা শুরু করা ফাবিও আজ প্রমাণ করেছেন, বয়স কেবল একটি সংখ্যা। দীর্ঘ ক্যারিয়ারের মাধ্যমে তিনি রেখেছেন ফুটবল ইতিহাসে অমলিন ছাপ, যা নতুন প্রজন্মের ফুটবলারদের জন্য এক অনুপ্রেরণার উৎস।