আর তাতেই প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার পথে এক পা দিয়ে রেখেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
বুধবার (২ জুলাই) ইয়াঙ্গুনের থুয়ান্না স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ‘সি’ গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচ। যেখানে দুই দলের লড়াইয়ে নায়ক হয়ে উঠলেন ঋতুপর্ণা চাকমা। তার জোড়া গোলেই স্বপ্নের জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ।
প্রথমার্ধে খেলার ১৯তম মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে গোলের সূচনা। প্রথম প্রচেষ্টা মিয়ানমারের দেয়ালে প্রতিহত হলেও ফিরতি বলে দূর থেকে নেওয়া ঋতুপর্ণার জোরালো শটে কেঁপে ওঠে স্বাগতিকদের জাল। এরপর প্রথমার্ধেই ভাগ্যের সহায়তা পায় বাংলাদেশ। ক্রসবারে লেগে ফিরেছে মিয়ানমারের একটি শট, ফিরতি বল থেকেও গোল করতে পারেননি স্বাগতিকদের ফরোয়ার্ড।
প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেই আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে মিয়ানমার, তবে ৭১ মিনিটে উল্টো আরেকটি গোল হজম করে বসে তারা। বাঁ দিক থেকে চমৎকার একটি ক্রসে আবারও ঋতুপর্ণার নিখুঁত ফিনিশিং। ম্যাচে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
শেষদিকে স্বাগতিকরা এক গোল শোধ করলেও ম্যাচে আর ফিরতে পারেনি। ৮৯তম মিনিটে উইন উইনের গোলে ব্যবধান কমায় মিয়ানমার। এরপর অতিরিক্ত সময়ে একের পর এক আক্রমণ শানালেও বাংলাদেশের দুর্দান্ত রক্ষণ ও গোলরক্ষক রুপনার দৃঢ়তায় জয় নিশ্চিত হয় বাঘিনীদের।
এই জয়ে দুই ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। গোল ব্যবধানেও রয়েছে ভালো সুবিধায়। গ্রুপের শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে ড্র করলেই নিশ্চিত হবে এশিয়ান কাপের মূলপর্বের টিকিট। এমনকি হারলেও সুযোগ থাকবে, তবে তাকিয়ে থাকতে হবে মিয়ানমার ও বাহরাইনের মধ্যকার ম্যাচের ফলাফলের দিকে।
উল্লেখ্য, এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে আগে কখনো জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ নারী দল। এবার বাহরাইন ও মিয়ানমারকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ার পথে হাঁটছে তারা। পিটার বাটলারের কোচিংয়ে দলটি যেন এক নতুন রূপে উজ্জ্বল।
আগামী ৫ জুলাই একই ভেন্যুতে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। জয় কিংবা ড্র—উভয় ফলই ইতিহাস গড়ার জন্য যথেষ্ট হবে।
২০২৫ সালে অস্ট্রেলিয়ায় বসতে যাওয়া এএফসি নারী এশিয়ান কাপে অংশ নেবে ১২ দল। এর মধ্যে আয়োজকসহ চারটি দল ইতোমধ্যেই নিশ্চিত করেছে মূলপর্বে জায়গা। বাকি আটটি দল আসবে বাছাইয়ের আটটি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে। বাংলাদেশের সামনে এখন সেই সোনালি সুযোগ।