ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনার পারদ আরও বেড়ে চলেছে। ইসরায়েল অভিযোগ করেছে যে, ইরান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে তাদের উপর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ) ইরানে ব্যাপক হামলার নির্দেশ দেন। তিনি দাবি করেন, ইরান থেকে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে, যা আইডিএফ প্রতিহত করেছে। টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, হামলার পরই আইডিএফ সতর্কতা প্রত্যাহার করে এবং আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ইসরায়েলিদের বেরিয়ে আসতে নিরাপদ বলে ঘোষণা দেয়।
অন্যদিকে, ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ইরান দাবি করেছে, তারা কোন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়নি এবং ইসরায়েলের এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ইরান আরো জানায়, ইসরায়েলের এই ধরনের অভিযোগ উস্কানিমূলক এবং এর মাধ্যমে তারা আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায়।
ইসরায়েল ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করেছে যে, তারা ইরানের সঙ্গে মার্কিন প্রস্তাবিত দ্বিপক্ষীয় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তবে ইসরায়েল স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে, যুদ্ধবিরতির যে কোন লঙ্ঘন তারা মেনে নেবে না এবং প্রয়োজন হলে জবাব দিতে প্রস্তুত থাকবে।
ইরানের উত্তরাঞ্চল গিলান প্রদেশে একটি অজানা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত এবং ৩৩ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় চারটি বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। ইরান অভিযোগ করেছে, এই হামলার পেছনে ইসরায়েলের হাত রয়েছে। ইরানের এই অভিযোগে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে এই ধরনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এবং উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করতে পারে। যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ এখন দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও তীব্র করে তুলেছে।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এই উত্তেজনা নিরসনে মধ্যস্থতার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করা উচিত। অন্যথায়, এই উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেলে তা আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক শান্তির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।