close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ইসরায়েলি কোমল পানীয় রেস্টুরেন্টে! সিলেটে জনতার রোষ, দিনদুপুরে ভাঙচুর..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
সিলেটের এক রেস্টুরেন্টে ইসরায়েলি কোমল পানীয় রাখার অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ জনতা হঠাৎ করেই রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ চরমে!..

সিলেট শহরে উত্তেজনা: রেস্টুরেন্টে ইসরায়েলি পণ্য রাখায় জনতার হামলা

সিলেট শহরের প্রাণকেন্দ্রে এক রেস্টুরেন্টে ইসরায়েলি কোমল পানীয় সরবরাহ রাখার অভিযোগে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরের দিকে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা রেস্টুরেন্টটিতে হামলা চালায় এবং ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় স্থানীয় মানুষ, ব্যবসায়ী এবং পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জিয়াউল হক। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, “বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। স্থানীয়দের একটি অংশ অভিযোগ করেছে যে, ওই রেস্টুরেন্টে ইসরায়েলের একটি কোমল পানীয় বিক্রি করা হচ্ছিল। এটি জানাজানি হতেই উত্তেজিত জনতা ঘটনাস্থলে এসে ভাঙচুর চালায়।”

তিনি আরও জানান, পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং তদন্ত চলমান।

 রেস্টুরেন্টে কী ধরনের পণ্য ছিল?

প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই জানান, রেস্টুরেন্টটির ফ্রিজে ইসরায়েলি উৎপাদিত একটি বিখ্যাত কোমল পানীয় দেখা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভ তৈরি হয়। কেউ কেউ অভিযোগ করেন, যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত একটি দেশের পণ্য বাংলাদেশের বাজারে কেন বিক্রি হচ্ছে, তা নিয়ে কর্তৃপক্ষেরও দায় আছে।

এ বিষয়ে রেস্টুরেন্ট মালিকের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে, স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির একজন সদস্য জানান, “আমাদের সকল সদস্যকে সতর্ক করা হয়েছে যেন কোনো বিদেশি পণ্য রাখার আগে তার উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হয়।”

 জনতার প্রতিক্রিয়া ও সামাজিক উদ্বেগ

ইসরায়েলের সঙ্গে মুসলিম বিশ্বের চলমান বিরোধের প্রেক্ষাপটে, তাদের উৎপাদিত পণ্য অনেক দেশে বয়কটের আওতায় রয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে সিলেটের এই ঘটনাটি নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও আবেগ কাজ করলেও, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা ইসরায়েলের পণ্য চাই না, সেটা আমাদের দেশে আসবে কেন? এটা শুধু ব্যবসা না, এটা একধরনের মানসিক আঘাত।”

 পুলিশের অবস্থান ও তদন্ত কার্যক্রম

ওসি জিয়াউল হক জানান, কেউ আইন হাতে তুলে নিতে পারে না। যারা রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর করেছে, তাদের চিহ্নিত করতে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। অপরাধী যেই হোক, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে গোটা ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, তবে রেস্টুরেন্টটির বেশ কিছু আসবাবপত্র ও ফ্রিজ ভাঙচুর হয়েছে বলে জানা গেছে।

 ভবিষ্যতের করণীয়

এই ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে সচেতনতা ও ব্যবসায়ী প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেওয়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বিদেশি পণ্য আমদানি ও বিক্রির ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই বাড়ানো, এবং সাধারণ মানুষকে আইন নিজের হাতে না তুলে নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

সিলেট সিটি করপোরেশন এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ব্যবসায়ী সমিতিগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে।

Tidak ada komentar yang ditemukan