ইসরায়েল থেকে ট্রাম্প, ইলন মাস্ককে হত্যার হুমকি অ্যামেরিকান তরুণের..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইসরায়েল থেকে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও টেক টাইকুন ইলন মাস্ককে হত্যার হুমকি দিলেন ২৮ বছরের এক মার্কিন নাগরিক। শুধু হুমকি নয়, দূতাবাসে আগুন দিতে মলোটভ ককটেল নিয়ে উপস্থ..

ইসরায়েল থেকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইলন মাস্ককে হত্যার প্রকাশ্য হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের ২৮ বছর বয়সী নাগরিক জোসেফ নিউমেয়ার। শুধু তাই নয়, তিনি আগুন ও বিস্ফোরক নিয়ে আমেরিকান দূতাবাসে হামলার চেষ্টা করেন — যা শেষ পর্যন্ত তাকে আইনের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।

ফেডারেল প্রসিকিউটরদের বরাতে নিউ ইয়র্ক ডেইলি নিউজ জানায়, নিউমেয়ার গত কয়েক মাস ধরে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ধারাবাহিকভাবে হুমকিমূলক বার্তা ছড়িয়ে আসছিলেন। পোস্টগুলোর ভাষা ছিল ভয়ঙ্কর এবং উদ্দেশ্য ছিল সরাসরি সহিংসতা উসকে দেওয়া।

তার পোস্টে ছিল এমন বক্তব্য:

  • “আমরা ট্রাম্প ও মাস্ককে এখনই হত্যা করতে যাচ্ছি।”

  • “ট্রাম্পের মৃত্যু মানে আমেরিকার মৃত্যু।”

  • “পদত্যাগের জন্য ট্রাম্পের হাতে কয়েক ঘণ্টা আছে, না হলে মৃত্যু অনিবার্য।”

গত ১৯ মে, নিউমেয়ার তেল আবিবে অবস্থান করছিলেন। তিনি সেদিন আমেরিকান দূতাবাসে হামলার আহ্বান জানিয়ে একটি পোস্টে লেখেন,
“এই বিকেলে তেল আবিবে আমার সঙ্গে যোগ দিন। আমরা আমেরিকান দূতাবাস জ্বালিয়ে দিতে যাচ্ছি।”
তিনি আরও লিখেন, “আমেরিকার মৃত্যু, আমেরিকানদের মৃত্যু।”

এমন হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে, ওই দিন নিউমেয়ারকে তেল আবিবে আমেরিকান দূতাবাসের শাখা অফিসের কাছাকাছি এলাকায় দেখতে পান নিরাপত্তারক্ষীরা। দূতাবাসের মূল প্রবেশপথ থেকে মাত্র দুই মিটার দূরে এক নিরাপত্তারক্ষী তাকে আটকানোর চেষ্টা করলে, নিউমেয়ার ‘এফ-ইউ’ বলে চিৎকার করে থুতু ছুড়ে দেন এবং পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

তবে নিরাপত্তারক্ষী তার কাঁধের ব্যাগ ধরার সময় নিউমেয়ার ব্যাগটি ফেলে দৌড় দেন। পরে নিরাপত্তারক্ষীরা সেই ব্যাগের ভিতর থেকে তিনটি মলোটভ ককটেল উদ্ধার করেন — যা দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব।

পরবর্তীতে ইসরায়েলি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে দূতাবাসের কাছের একটি হোটেল কক্ষ থেকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিউমেয়ার স্বীকার করেন,

  • তিনি দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন

  • ব্যাগে মলোটভ ককটেল ছিল

  • এবং নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছে

ইসরায়েল সরকার পরে নিউমেয়ারকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠায়। তিনি জন এফ. কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন, যা নিউ ইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টের আওতায় পড়ে। তাই মামলাটির দায়িত্ব নেয় ব্রুকলিনের ফেডারেল প্রসিকিউটররা।

এখন নিউমেয়ারের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে "মার্কিন সম্পত্তি ধ্বংস করতে আগুন বা বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহারের চেষ্টার" অভিযোগ, যা যুক্তরাষ্ট্রে একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।

এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে, নিউমেয়ারকে পাঁচ থেকে বিশ (৫–২০) বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ভোগ করতে হতে পারে।


 

একজন মার্কিন নাগরিকের বিদেশে গিয়ে নিজের দেশের প্রেসিডেন্ট ও উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে এমন চরম হুমকি এবং সহিংস হামলার চেষ্টার ঘটনা বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই ঘটনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও সাইবার পর্যবেক্ষণের গুরুত্ব আবারও সামনে এসেছে।

Nenhum comentário encontrado


News Card Generator