close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
গাজীপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার:
ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন ছাড়া দেশের দুঃখী ও অনাহারি মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) গাজীপুর মহানগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে। প্রায় দেড় হাজার কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে এই আয়োজন শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়। এতে গাজীপুর মহানগরের সভাপতি নির্বাচিত হন হোসেন আলী এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ফারদিন হাসান হাসিব।
ইসলামী শ্রমনীতির প্রয়োজনীয়তা
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, "ইসলামী শ্রমনীতিতে শ্রমিক ও মালিকের মধ্যে দ্বন্দ্ব নয়, বরং সহমর্মিতা ও সহাবস্থান নিশ্চিত করা হয়। মালিক যেমন খাওয়াবেন এবং পরবেন, শ্রমিকের জন্যও একই মানের জীবনযাত্রা নিশ্চিত করতে হবে।"
তিনি আরও বলেন, "ইসলামী দ্বীন প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। ছাত্র আন্দোলন যেমন একটি নতুন বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছে, তেমনি শ্রমিকদের বিপ্লবী আন্দোলন আরও একটি কল্যাণ রাষ্ট্রের জন্ম দেবে।"
নতুন নেতৃত্ব ও ভবিষ্যতের প্রত্যাশা
নবনির্বাচিত সভাপতি হোসেন আলীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ফারদিন হাসান হাসিবের সঞ্চালনায় আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ, অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান, এবং অধ্যাপক জামাল উদ্দিন।
অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ বলেন, "শ্রমিক-মালিক পরিচয়ের ভিত্তিতে মর্যাদা নির্ধারিত হয় না। বরং আল্লাহর কাছে মর্যাদা নিরূপিত হয় তাকওয়ার ভিত্তিতে। তাই শ্রমিকদের তাকওয়া অর্জনের দিকে মনোযোগী হতে হবে।"
নারী শ্রমিকদের দাবি ও অধিকার
সম্মেলনে নারী শ্রমিকদের দাবি তুলে ধরা হয়। তারা প্রতিটি কারখানায় নামাজের জন্য আলাদা স্থান বরাদ্দের আহ্বান জানান। এছাড়া শ্রমিকদের বেতন বৈষম্য দূর করার প্রয়োজনীয়তার কথাও জোর দিয়ে বলা হয়।
ট্রেড ইউনিয়ন: নতুন দৃষ্টিভঙ্গি
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, "ট্রেড ইউনিয়ন একসময় ছিল স্কুল অব কমিউনিজম। কিন্তু ইসলামী শ্রমনীতি সেই ধারণাকে পাল্টে দিয়েছে। আজকের শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ট্রেড ইউনিয়নকে স্কুল অব ইসলামে রূপান্তর করেছে। আমাদের পূর্বসূরিরা যে পতাকা তুলে দিয়েছেন, তা বিজয়ের আগ পর্যন্ত আমাদের থামা চলবে না।"
আন্তর্জাতিক চাপ ও সরকারের অবস্থান
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার পাশের দেশের সরকারের হস্তক্ষেপের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, "বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য কোনো দেশের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না। আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে।"
সম্মেলনের বার্তা
এই সম্মেলন থেকে শ্রমিক নেতারা স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন—বাংলাদেশে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় এবং একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
সম্মেলন শেষে নবনির্বাচিত নেতারা শ্রমিকদের কল্যাণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর অঙ্গীকার করেন।
এটি আরও বিশদ ও মনোযোগ আকর্ষণকারী করে রি-রাইট করা হয়েছে, যা পাঠককে গভীরভাবে আকৃষ্ট করবে।
No se encontraron comentarios