ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নিয়ে জটিল অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা ইস্যুতে অবশেষে শিগগিরই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) এক আলোচনা সভায় জানিয়েছেন, আর সময় নেই চুপ থাকার। সরকার এই বিষয়টি নিয়ে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা করছে এবং আলোচনার ভিত্তিতে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সচিবালয়ে উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে নতুন একটি পাবলিক লাইব্রেরি নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, “এখন ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলার সময়। কিন্তু যেখানে নাগরিক সেবা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, সেখানে আর কতদিন এমন অবস্থা চলতে পারে? আমরা বিষয়টি গভীরভাবে দেখছি।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার খবর উঠে এসেছে। 이에 স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা জানান, “আমরা উচ্চ পর্যায়ে ডেঙ্গু মোকাবিলায় নানা মিটিং করেছি। সিটি করপোরেশনগুলোর কাজ পুরোপুরি প্রকাশ্যে আসতে নাও পারে, তবে কার্যক্রম বন্ধ নয়। আমরা জনসচেতনতা বৃদ্ধিতেও কাজ করছি এবং সেবার অবিচ্ছিন্নতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।”
তিনি আরও জানান, “দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে অবশ্যই কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। সেখানে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার কারণে আমরা বিকল্প ব্যবস্থা নিচ্ছি যাতে নাগরিক সেবা অন্তত বাধাহীনভাবে বহাল থাকে।
গত কয়েক মাস ধরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে একজন বিএনপি নেতা নিজেকে মেয়র ঘোষণা করে নগর ভবনে দখল নিয়েছেন। এই কারণে সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কার্যক্রম অনেক ক্ষেত্রে স্থবির হয়ে পড়েছে এবং নাগরিক সেবা বন্ধের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠলেও সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলেও নানা সমালোচনা আছে।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এই বিষয়েও জানান, “সরকার এই সমস্যায় খুবই উদ্বিগ্ন। তবে এটা এককভাবে কোনো একটি সংস্থার কাজ নয়, এটি একটি সমন্বিত ও গুড কোঅর্ডিনেশনের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই এবং প্রত্যেকের কাছ থেকেই দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করি।”
তিনি যোগ করেন, “আমরা যতটা সম্ভব শান্তিপূর্ণ ও দায়িত্বশীল আচরণ করার চেষ্টা করছি, কিন্তু নাগরিক সেবা ডেডলকের মুখে যখন পড়ছে, তখন আর চুপ থাকার পরিবেশ নেই। সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনার ভিত্তিতে যে সিদ্ধান্ত আসবে, আমি তা বাস্তবায়ন করবো।”
সরকারের এই স্পষ্ট বার্তা আশা জাগাচ্ছে যে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন দখল ও প্রশাসনিক সংকট সমাধানে শিগগিরই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং নাগরিকদের সেবা ব্যবস্থা স্বাভাবিক ফিরিয়ে আনা হবে।



















