close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ইস রা ই লি হা ম লা য় পার মা ণবি ক ঝুঁ কি মোকা বেলায় প্র স্তুতি নিচ্ছে ই রা ন..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইসরায়েলের ধারাবাহিক হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ঝুঁকির মুখে পড়েছে। সম্ভাব্য তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়া রোধে প্রস্তুতি নিচ্ছে তেহরান। হাসপাতাল খালি করা হচ্ছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানানো হয়েছে ..

ইসরায়েলের ধারাবাহিক বোমা বর্ষণে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা। এবার ইরান সরাসরি আশঙ্কা জানিয়েছে যে, তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো টার্গেট হলে বড় ধরনের তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়তে পারে—যা গোটা অঞ্চলকে ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিতে পারে। এ পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবেলায় দ্রুতগতিতে প্রস্তুতি শুরু করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ইরানের উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী আলি জাফারিয়ান রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানান, এখন পর্যন্ত ইসরায়েল পারমাণবিক অস্ত্র বা সরাসরি তেজস্ক্রিয় উপাদান ব্যবহার করেনি, তবে পারমাণবিক রিয়্যাক্টর যদি হামলার শিকার হয়, তাহলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। আমরা সে ধরনের সম্ভাবনা মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েল যেসব হামলা চালাচ্ছে, তা মূলত বেসামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর। এখন পর্যন্ত তিনটি হাসপাতাল ইসরায়েলি আক্রমণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে কেরমানশাহের একটি হাসপাতাল সম্পূর্ণভাবে খালি করে দিতে হয়েছে জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে।

আলি জাফারিয়ান তার বক্তব্যে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO), আন্তর্জাতিক রেড ক্রস—এসব সংস্থাকে আমরা আহ্বান জানিয়েছি যেন তারা ইসরায়েলকে বেসামরিক স্থাপনার ওপর হামলা থেকে বিরত রাখার জন্য আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু গাজায় দেড় বছর ধরে তাদের নীরবতা আমাদের আশাভঙ্গ করেছে।”

এই বিবৃতির মধ্য দিয়ে ইরান কেবল নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েই উদ্বিগ্ন নয়, বরং আন্তর্জাতিক মানবিক সংগঠনগুলোর নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা এটিকে এক ধরনের আন্তর্জাতিক মিথ্যাচার বলে আখ্যায়িত করেছে।

উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ইসরায়েলি আগ্রাসনের অষ্টম দিনে পর্যন্ত প্রায় ৪৩০ জন নিরীহ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। আহত হয়েছেন ৩,৫০০ জনের বেশি। হাসপাতালগুলোতে রক্ত ও ওষুধের ঘাটতি দেখা দিয়েছে, এবং অনেক স্থানে চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের মতো পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া একটি দেশের ওপর যদি আক্রমণ অব্যাহত থাকে, এবং সেই আক্রমণ যদি পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পর্যন্ত পৌঁছে যায়, তাহলে শুধু ইরান নয়—পুরো মধ্যপ্রাচ্য একটি ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে।

তেহরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং সবরকম প্রস্তুতি নিচ্ছে যাতে নাগরিকদের জীবন রক্ষা করা যায়।

ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা এখন আর শুধু সামরিক সীমাবদ্ধতায় নেই। এটি মানবিক সংকট, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা, এমনকি পরিবেশগত বিপর্যয়ের দিকেও এগিয়ে যাচ্ছে। তেজস্ক্রিয়তার ভয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর নিষ্ক্রিয়তা মিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্য যেন এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

Không có bình luận nào được tìm thấy


News Card Generator