close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র , ট্রাম্প..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, তারা ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনায় সফলভাবে হামলা চালিয়েছে। ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানার পর এসব স্থাপনা ধ্বংসপ্রা..

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি একটি ভয়াবহ ও ঐতিহাসিক ঘোষণা দিয়েছেন, যা বিশ্ব রাজনীতির মহাকাশে এক দমকের মতো সাড়া ফেলেছে। ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সফলভাবে হামলা চালিয়েছে। এই স্থাপনাগুলো হলো ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই তীব্র হামলায় বোমা মেরে ফেলা হয়েছে তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা, যা ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

রয়টার্স বার্তাসংস্থার বরাতে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান ব্যবহৃত হয়েছে, যা অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত এবং শত্রু অঞ্চলে অদৃশ্য থেকে হামলা চালাতে সক্ষম। এই বিমান গোপনে ইরানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে, সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।

ট্রাম্প নিজেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্ট শেয়ার করে জানান, আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় খুবই সফলভাবে হামলা সম্পন্ন করেছি। সব বিমান এখন নিরাপদে ইরানের আকাশসীমার বাইরে।

ট্রাম্প একটি ওপেন-সোর্স ইন্টেলিজেন্স অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা তথ্য উদ্ধৃত করে জানিয়েছেন, ‘শক্তিশালী সুরক্ষায় মোড়া ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা পুরোপুরি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে।

ফোরদো ইরানের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্র, যেখানে দেশের সর্বাধুনিক ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কাজ চালানো হত। এখন সেটি যুদ্ধক্ষেত্রের মতো ঝলসে গেছে।

ট্রাম্পের ভাষায়, এই হামলা শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নয়, ইসরায়েল এবং পুরো বিশ্বের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। তিনি জানান, আজ ওয়াশিংটন ডিসির স্থানীয় সময় রাত ১০টায় জাতির উদ্দেশে বিস্তারিত ভাষণ দেবেন।

বিশ্বের প্রধান শক্তিগুলো, বিশেষত মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রগুলো এই ঘটনাকে গভীর মনোযোগ দিয়ে দেখছে। এই হামলার পর ইরানের প্রতিক্রিয়া, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভবিষ্যত কী হবে, তা নিয়ে এখন বিশ্বজুড়ে বিশ্লেষণ চলছে।

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানোর ফলে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ইরানের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে আন্তর্জাতিক মহল সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, এর পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে সশস্ত্র সংঘাতের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই হঠাৎ হামলার পরে বিশ্ব নেতারা তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জাতিসংঘ মহাসচিব শান্তি আহ্বান জানিয়েছে এবং উত্তেজনা কমানোর জন্য সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটোর শীর্ষ নেতারা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির উপর একটি বড় ধাক্কা, তবে এর ফলে ভবিষ্যতে সাইবার হামলা, গুপ্তচরবৃত্তি এবং প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়াও, ইরান তাদের প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার জন্য কার্যক্রম শুরু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই হামলার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক ও কূটনৈতিক স্থিতি ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হবে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কূটনীতিকরা তীব্র পরামর্শ দিচ্ছেন শান্তি প্রতিষ্ঠায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে।

 যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলা বিশ্ব রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ওপর হামলা কেবল একটি সামরিক ঘটনা নয়, এটি একটি সংকেত যে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতার জন্য কতটা প্রস্তুত। আগামী দিনে এই সংকট কিভাবে সমাধান হয়, তা গোটা বিশ্ব উন্মুখ হয়ে দেখছে।

কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি