ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা মেহের নিউজ এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) প্রথমবারের মতো তাদের সর্বাধুনিক ‘খাইবার-শেকান’ ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মোতায়েন করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ইরানের সামরিক সক্ষমতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা এখন যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতে যাচ্ছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার বরাতে জানা গেছে, আইআরজিসি এই মিসাইল ‘মোতায়েন’ করছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে। এই পদক্ষেপকে প্রতিশোধমূলক এবং কৌশলগত সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ ইসরায়েল সম্প্রতি ইরানের পারমাণবিক এবং সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে একাধিক হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলের হাইফা ও তেল আবিবের বিভিন্ন স্থানে রোববার (২২ জুন) ইরানের তরফ থেকে প্রায় ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের খবর পাওয়া গেছে। তাসনিম নিউজ এজেন্সি এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। এই হামলাগুলো ইরানের কঠোর প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে সংঘাতের মাত্রা বাড়াতে পারে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলা তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে দাবি করেছে, তারা যখন কূটনৈতিক আলোচনা চলছিল তখনই এই হামলাগুলো পরিচালিত হয়েছে। এই পরিস্থিতি ইরান ও পশ্চিম এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় হুমকি সৃষ্টি করেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ‘খাইবার-শেকান’ মিসাইল মোতায়েনের মাধ্যমে ইরান তার সামরিক শক্তি প্রদর্শন করছে এবং ভবিষ্যতে তেল আবিবের বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলার সংকেত দিচ্ছে। এটি পশ্চিম এশিয়ার রাজনৈতিক ও সামরিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই উত্তেজনার ওপর নজর রাখছে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রত্যাশায় আছে। তবে ইরানের এই পদক্ষেপ যুদ্ধের সম্ভাবনাকে আরও বাস্তবসম্মত করে তুলেছে।