ঢাকা, ১৫ মার্চ ২০২৫: এক মাসব্যাপী গণস্বাক্ষর সংগ্রহ এবং লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। আজ শনিবার সকালে রাজধানী ঢাকার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির বিস্তারিত ঘোষণা দেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি।
শরীফ ওসমান হাদি জানান, তাদের সংগঠন দুইটি প্রধান দাবির জন্য এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছে:
১. জুলাই, পিলখানা এবং শাপলা গণহত্যার বিচার করতে হবে।
২. গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
এছাড়া, ২৫ এপ্রিল শহীদী সমাবেশের আয়োজনের কথাও ঘোষণা করেন তিনি, যা এ আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
আজকের ঘোষণার আগে, ইনকিলাব মঞ্চ বামপন্থিদের কর্মসূচির প্রতিবাদে শাহবাগে জমায়েত করে এবং শহীদ মিনারে পদযাত্রার আয়োজন করেছিল। ওই সময়, শরীফ ওসমান হাদি পাঁচ মিনিটের আলটিমেটাম দিয়ে বামপন্থিদের শহীদ মিনার থেকে সরে যেতে বলেন। পরে, জনসমাগমের উত্তেজনা কমানোর জন্য তারা গণমিছিল প্রত্যাহার করে নেয় এবং শাহবাগ ফিরে এসে জাতীয় জাদুঘরের সামনে তাদের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
শরীফ ওসমান হাদি আরও বলেন, ‘‘শাহবাগের ফ্যাসিবাদী শক্তি যারা উত্থান ঘটিয়েছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেওয়া উচিত। আমরা খবর পেয়েছি যে, আওয়ামী লীগ দেশের অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে হাজার কোটি টাকা খরচ করছে। তাদের লক্ষ্য জাতিসংঘের মহাসচিবের সামনে বাংলাদেশের অস্থিতিশীলতা তুলে ধরা।’’
গতকাল রাতে ফেসবুকে কর্মসূচি সম্পর্কে ঘোষণা দিয়ে সাধারণ জনগণ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনকে আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান লাকী আক্তার। তার এই আহ্বানে বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
প্রথমে, ইনকিলাব মঞ্চ শহীদ মিনার থেকে টিএসসি পর্যন্ত একটি গণমিছিল আয়োজনের পরিকল্পনা করেছিল। তবে, তাদের প্রতিবাদী কর্মসূচির কারণে উত্তেজনা বাড়লে সেই গণমিছিলটি স্থগিত করা হয়।
ইনকিলাব মঞ্চের এই উদ্যোগ একটি বড় ধরনের রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি করতে পারে, যেহেতু তাদের দাবি রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে এবং এই আন্দোলন দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে নতুন করে আলোচনায় নিয়ে আসবে।