গণঅভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ইফতার পার্টিগুলোতেও এসব দলের নেতারা পরস্পরবিরোধী বক্তব্য রাখছেন, কিন্তু বেশ কয়েক বছর পর তারা একে অপরকে ইফতার আয়োজনে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
এখন ঈদের পর দেশের রাজনীতিতে নির্বাচনী এবং সংস্কার ইস্যু নিয়ে বড় দলগুলোর মধ্যে মতভেদ প্রকাশিত হতে পারে। বিএনপি, জামায়াত এবং এনসিপি ঈদের সময় নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি রাষ্ট্রীয় সংস্কার এবং আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে মাঠে সক্রিয় রয়েছে, তবে নির্বাচনকে তাদের অগ্রাধিকারে রাখা হয়নি।
বিএনপি, বিশেষত, নির্বাচন দ্রুত অনুষ্ঠানের দাবি করছে, তবে তারা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে হতাশ। সরকারকে নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করার জন্য তারা আনুষ্ঠানিকভাবে তাগাদা দিতে চায়। এর বিপরীতে জামায়াতের বক্তব্য, তারা নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের পক্ষে রয়েছে এবং সময়ের চেয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচনের গুরুত্ব বেশি।
এদিকে, এনসিপি তাদের দাবি নিয়ে মাঠে সক্রিয় থাকতে চায় এবং রাষ্ট্রীয় সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে চায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতি রাজনীতির উত্তাপ বাড়াতে পারে, তবে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম।