ঈদুল ফিতর পরবর্তী ট্রেনযাত্রায় ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘ্ন ভ্রমণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আজ ২৮ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিলের আন্তঃনগর ট্রেনের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।
রেলওয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সকাল ৮টা থেকে পশ্চিমাঞ্চলের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে। পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে দুপুর ২টায়।
ঈদের সময় ট্রেনযাত্রার অতিরিক্ত চাপ সামলাতে এবং কালোবাজারি প্রতিরোধে এবার শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে বিশেষ ব্যবস্থার কারণে এসব টিকিট রিফান্ডযোগ্য নয়।
টিকিট বিক্রির নির্ধারিত তারিখ: বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঈদের পরের দিনগুলোতে যাত্রীদের সুবিধার্থে নির্দিষ্ট সময়ে টিকিট বিক্রির পরিকল্পনা করা হয়েছে।
-
৩ এপ্রিলের টিকিট: ২৪ মার্চ
-
৪ এপ্রিলের টিকিট: ২৫ মার্চ
-
৫ এপ্রিলের টিকিট: ২৬ মার্চ
-
৬ এপ্রিলের টিকিট: ২৭ মার্চ
-
৭ এপ্রিলের টিকিট: ২৮ মার্চ
-
৮ এপ্রিলের টিকিট: ২৯ মার্চ
-
৯ এপ্রিলের টিকিট: ৩০ মার্চ
বিশেষ ঈদ স্পেশাল ট্রেন: যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভিন্ন রুটে বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালু করছে।
-
চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে: চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল ১ ও ২
-
ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রুটে: দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ৩ ও ৪
-
ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ রুটে: শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ৫ ও ৬
-
ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রুটে: শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ৭ ও ৮
-
জয়দেবপুর-পার্বতীপুর রুটে: পার্বতীপুর ঈদ স্পেশাল ৯ ও ১০
এছাড়া, ঈদের সময় অতিরিক্ত যাত্রীদের চাপ সামলাতে ৪৪টি যাত্রীবাহী কোচ ও ১৯টি অতিরিক্ত লোকোমোটিভ সংযোজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
ঈদে ট্রেনযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে রেলওয়ের নেওয়া এই বিশেষ ব্যবস্থা যাত্রীদের জন্য স্বস্তির বার্তা বয়ে আনবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
আপনার সুবিধার্থে অগ্রিম টিকিট কিনুন এবং নির্বিঘ্ন যাত্রা উপভোগ করুন!