ইবতেদায়ী শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল


ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। রবিবার সন্ধ্যা সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে ইনকিলাব মঞ্চ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যৌথ উদ্যোগে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিলটি রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে শাহবাগে গিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সাথে যুক্ত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদী। শিক্ষকদের প্রতি সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “সরকার পরিবর্তন হলেও পুলিশ লীগের চরিত্রের কোনো পরিবর্তন হয়নি। তারা আজ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে, যা সম্পূর্ণ অমানবিক। শিক্ষকরা কোনো অযৌক্তিক দাবি তো করেনি। তবে কীভাবে পুলিশ এ ধরনের হামলা চালানোর সাহস পেল? আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে ইবতেদায়ী মাদ্রাসার চাকরিকে জাতীয়করণের দাবি জানাই।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুরুল কবির সগীর বলেন, “মাদ্রাসার শিক্ষকরা সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। তাদের ন্যায্য দাবি পূরণের বদলে পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, ইবতেদায়ী মাদ্রাসার চাকরি যদি জাতীয়করণ না করা হয়, আমরা আবার রাজপথে নামব।”
শিক্ষার্থী রেজওয়ান রিফাত বলেন, “আজকের পুলিশি হামলা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। শিক্ষকরা যে বেতন পান, তা তাদের পরিবারের প্রয়োজন মেটাতে যথেষ্ট নয়। আমরা এই হামলার সুষ্ঠু তদন্ত চাই এবং তাদের চাকরি জাতীয়করণের দাবি জানাই।”
পুলিশি হামলার পটভূমিইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। রবিবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে স্মারকলিপি দিতে গেলে শাহবাগে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ জলকামান, টিয়ারশেল এবং লাঠিচার্জ করে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষক গুরুতর আহত হন এবং তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আন্দোলনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাইনকিলাব মঞ্চ এবং আন্দোলনরত শিক্ষকরা ঘোষণা দিয়েছেন, যদি তাদের দাবি অবিলম্বে পূরণ না হয়, তাহলে তারা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। এই আন্দোলন শিক্ষকদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
کوئی تبصرہ نہیں ملا