close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ইবতেদায়ি শিক্ষকদের মিছিলে হামলা: শিক্ষকসমাজে চরম ক্ষোভ ও অপমানের অভিযোগ

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
শিক্ষকদের মিছিল দমনে পুলিশের লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস ও জলকামানের ব্যবহার ন্যক্কারজনক ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন জাতীয় শিক্ষক ফোরামের নেতারা। আহত শিক্ষকদের দ্রুত
শিক্ষকদের মিছিল দমনে পুলিশের লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস ও জলকামানের ব্যবহার ন্যক্কারজনক ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন জাতীয় শিক্ষক ফোরামের নেতারা। আহত শিক্ষকদের দ্রুত চিকিৎসার দাবি জানিয়ে দোষীদের শাস্তি চাওয়া হয়েছে। ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আয়োজিত মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ শিক্ষকদের মর্যাদাকে চরমভাবে ক্ষুণ্ন করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম। গতকাল রোববার রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় সংঘটিত এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষকসমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, সহসভাপতি এ বি এম জাকারিয়া এবং সেক্রেটারি জেনারেল আবদুস সবুর এক যৌথ বিবৃতিতে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শিক্ষকদের ওপর এই আক্রমণ শুধু তাদের নয়, গোটা শিক্ষক সমাজের প্রতি অপমানের শামিল। আহত শিক্ষকদের চিকিৎসার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।” ন্যক্কারজনক হামলার পেছনের প্রেক্ষাপট গত ২০ জানুয়ারি থেকে চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকেরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। তাদের দাবি, ২০১৩ সালে ২৬ হাজার রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হলেও, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোকে উপেক্ষা করা হয়েছে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষকরা প্রশ্ন তুলেছেন, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে অবস্থান কর্মসূচি চললেও সরকারের কোনো প্রতিনিধি তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেননি। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের দিকে মিছিল নিয়ে যাত্রা শুরু করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পুলিশি হামলায় আহত শিক্ষকরা শাহবাগ থানার সামনে মিছিল দমাতে পুলিশ লাঠিচার্জ এবং সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহারের পাশাপাশি পুলিশকে শিক্ষকদের ওপর লাঠিপেটা করতে দেখা যায়। এতে ছয়জন আহত হন, যার মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন। শিক্ষকরা বলেন, “শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশের এই হামলা অমানবিক। ৪০ বছরের বৈষম্য দূর করতে ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলো দ্রুত জাতীয়করণের ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় আন্দোলন আরও বেগবান হবে।” জাতীয়করণই সমাধান জাতীয় শিক্ষক ফোরামের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সরকারের উচিত দ্রুত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণ করে শিক্ষকদের প্রতি সুবিচার নিশ্চিত করা। শিক্ষার মানোন্নয়নে এই উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টা এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন বলে আমরা আশা করি।” শিক্ষকদের দাবি পূরণ না হলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা। শিক্ষা খাতের এই সংকট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
कोई टिप्पणी नहीं मिली