ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে পরিচালিত সংগঠন ঝিনাইদহের শৈলকূপা শাখার 'স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন’-এর আয়োজনে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন অঞ্চলসহ শৈলকূপা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২ হাজার ৬০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ শৈলকূপার পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
পরীক্ষার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইআইইইআর-এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, শহীদ আনাস হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল কাদের, আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আলতাফ হোসেন, সংগঠনের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান এবং পরিচালক আমিনুর রহমান।
সংগঠন সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরই স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান করে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও চতুর্থ থেকে নবম শ্রেণির দুই হাজার ৬০০ শিক্ষার্থী গত দুই মাসে সরাসরি নিবন্ধন করে পরীক্ষায় অংশ নেয়। অনুষ্ঠিত পরীক্ষা কেন্দ্রসমূহ হলো : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শৈলকূপা সিটি ডিগ্রি কলেজ, শৈলকূপা মহিলা ডিগ্রি কলেজ, ঝাউদিয়া বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মধুপুর হোদিরন নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
জানা যায়, বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ বিজ্ঞান এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য কুরআন-হাদিস বিষয়ে ১০০ নম্বরের এ পরীক্ষা নেয়া হয়। ৭০ শতাংশ নম্বরপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা সাধারণ বৃত্তি এবং ৮০ শতাংশের বেশি প্রাপ্তরা ট্যালেন্টফুল বৃত্তি পাবে। বৃত্তিপ্রাপ্তদের ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
সংগঠনের পরিচালক আমিনুর রহমান বলেন, এই বৃত্তি পরীক্ষার লক্ষ্য মূলত শিক্ষার্থীদের সার্বিক কল্যাণে কাজ করা। আমরা মেধাবী ও পরিশ্রমী শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে এবং তাদের শিক্ষা জীবনে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ গড়ে তুলতেই এই উদ্যোগ নিয়েছি। এ বছর ইবি ও শৈলকূপা অঞ্চলের প্রায় ২৬০০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ আমাদের জন্য আনন্দের ও আশাব্যঞ্জক। এটি অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা সচেতনতার ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। আমরা বিশ্বাস করি, এই উদ্যোগ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং আগামী দিনে আরও বৃহৎ পরিসরে এমন কার্যক্রম আয়োজন সম্ভব হবে। সর্বোপরি সাংবাদিক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও অভিভাবকদের সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এবং স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।
পরিদর্শন শেষে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত আজকের বৃত্তি পরীক্ষা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। উপস্থিতি ও সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ভালো। যারা এই আয়োজন করেছেন, তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ভবিষ্যতেও তারা এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।



















