close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ইয়াবা আনতেন জামাই, বিক্রি করতেন শ্বশুর

Akram Hossen avatar   
Akram Hossen
নিজেদের ঘরেই ছোট্ট একটি দোকান চালাতেন ৬০ বছর বয়সী রইছ উদ্দিন। এলাকাবাসীর কাছে পরিচিত ছিলেন একজন নিরীহ দোকানি হিসেবে।..

অন্যদিকে তার জামাই সজিব আহমেদ কিছুটা রোমাঞ্চকর জীবনযাপনের মধ্যেই ছিলেন, যদিও তার আয়ের উৎস ছিল ধোঁয়াশাচ্ছন্ন। কিন্তু গত শনিবার সকালে ঘটে গেল এমন এক ঘটনা, যা গোটা গ্রামটাকেই নাড়া দিয়ে গেল।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল অভিযান চালায় গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের টাঙাটিপাড়া এলাকায়। অভিযানে আটক করা হয় রইছ উদ্দিন ও তার জামাই সজিবকে, যাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় ২ হাজার পিস ইয়াবা।

পরিদর্শক চন্দন গোপাল সুর জানান, সজিবের ঘর থেকে উদ্ধার হয় ১০টি প্যাকেট, যার মধ্যে আটটিতে ছিল ২০০টি করে এবং দুইটিতে ১০০টি করে ইয়াবা। শুধু নিজে নয়, শ্বশুর রইছ উদ্দিনকেও তিনি এই ব্যবসার অংশ করে তুলেছিলেন। তদন্তে জানা গেছে, এই নেটওয়ার্কের বিস্তার আরো গভীর ও ব্যাপক।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, সজিব কিছুদিনের মধ্যেই আর্থিকভাবে দৃশ্যমান উন্নতি করতে থাকেন, যা সন্দেহের উদ্রেক করে। কিন্তু বারবার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও তাকে আটক করা যাচ্ছিল না। এবার অবশেষে আইনের ফাঁদে ধরা পড়েছেন তিনি।

পরিদর্শক কানিজ ফাতেমা নিশ্চিত করেন, এ ঘটনায় একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে এবং আরও যারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে, মাদকের শিকড় সমাজের একেবারে গভীরে গেঁথে আছে। যাদের আমরা প্রতিদিন দেখি নিরীহ চেহারায়, তারাও হয়ে উঠতে পারে বিপজ্জনক মাদক ব্যবসায়ী। পারিবারিক সম্পর্ককে ঢাল বানিয়ে সমাজে ইয়াবার বিস্তার নতুন কোনো কৌশল নয়, বরং একটি ভিন্নমাত্রার হুমকি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে শুধু অভিযান চালিয়ে দায়িত্ব শেষ করলেই চলবে না, স্থানীয় পর্যায়ে গোয়েন্দা নজরদারি এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রমও সমান জরুরি।

कोई टिप्पणी नहीं मिली


News Card Generator