close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ই রানের বুকে ব জ্রাঘা তের পরপরই ট্রা ম্প-নে তা নিয়াহু গো পন ফোনালাপ! যু দ্ধের ই ঙ্গিত স্পষ্ট....

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের সফল হামলার পরপরই ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর গোপন ফোনালাপ। ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস। পর্দার আড়ালে কী পরিকল্পনা?....

বিশ্ব রাজনীতির অঙ্গনে ফের দানা বাঁধছে উত্তেজনার নতুন অধ্যায়। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান—এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সরাসরি ও সফল হামলা চালানোর পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে একটি গোপন ও তাৎপর্যপূর্ণ ফোনালাপ হয়েছে। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে এ ঘটনাকে ভবিষ্যৎ সংঘাতের পূর্বাভাস হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সিবিএস নিউজের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা এই হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাঁরা জানান, এই অভিযানে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ ধরনের ‘বাংকার বাস্টার’ বোমা, যা মাটির অনেক গভীরে লুকিয়ে থাকা এবং সুরক্ষিত লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম। অর্থাৎ, ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পগুলো যতই সুরক্ষিত থাকুক না কেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই অস্ত্রের সামনে তা ছিল অসহায়।

ট্রাম্প তাঁর নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ পোস্ট করে বলেন,আমরা ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান—এই তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় অত্যন্ত সফল হামলা চালিয়েছি। বর্তমানে আমাদের সব যুদ্ধবিমান ইরানের আকাশসীমার বাইরে রয়েছে। আমরা সম্পূর্ণ নিরাপদ।

সর্বশেষ জানা গেছে, এই হামলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর মধ্যে সরাসরি ফোনালাপ হয়। হোয়াইট হাউসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,এই হামলার পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নে ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ণ সমন্বয় ছিল। আগেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছিল, যা ছিল দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদি সামরিক সহযোগিতার অংশ।

বিশ্লেষকদের মতে, ফোনালাপটি কেবল সৌজন্য নয়, বরং ভবিষ্যতের আরও কঠোর পদক্ষেপের সূচনা হতে পারে। ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।

এখনো পর্যন্ত ইরানের পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই তেহরান এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইরান হয়তো প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে, যা গোটা অঞ্চলে নতুন করে যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্ম দিতে পারে।

এই ঘটনার পর বিশ্ব কূটনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে, তাহলে কী যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল যৌথভাবে ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনায় এগোচ্ছে? নাকি এটি একটি বড় যুদ্ধের শুরু?

সাবেক গোয়েন্দা বিশ্লেষকরা বলছেন,এই ধরণের হামলা কখনোই তাৎক্ষণিকভাবে নেওয়া সিদ্ধান্ত নয়। এটি বহু মাসের পরিকল্পনার ফসল। ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর ফোনালাপ প্রমাণ করে—দুই দেশ এই মুহূর্তে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।

ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল—এই তিনটি দেশের পারস্পরিক টানাপোড়েনের মধ্যে নতুন করে বিস্ফোরণের আশঙ্কা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। ট্রাম্পের স্পষ্ট বার্তা এবং নেতানিয়াহুর সম্পৃক্ততা ইঙ্গিত দিচ্ছে, আগামী দিনে মধ্যপ্রাচ্য হয়তো আরও অশান্ত হয়ে উঠবে।

Ingen kommentarer fundet