ই রা নে র সরাসরি হা ম লা য় কাঁ প ছে বীরশেভা, তিন ভবনে আটকে পড়েছেন বাসিন্দারা!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরানের সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বীরশেভায় ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েছেন বাসিন্দারা। গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত তিন ভবন থেকে চলছে উদ্ধার, নিহত হয়েছেন অন্তত ৩ জন। আতঙ্কে কাঁপছে পুরো শহর।..

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে ইরানের সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কেঁপে উঠেছে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বীরশেভা। এই হামলার পর শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, বিশেষ করে যখন জানা যায়—তিনটি আবাসিক ভবনে বাসিন্দারা আটকে পড়েছেন এবং এখনও পর্যন্ত চলছে উদ্ধার অভিযান।

ইসরায়েলের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম আইএলটিভি (ILTV) জানিয়েছে, ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থার প্রধান এলি বিন (Eli Bin) এক বিবৃতিতে বলেন, “বীরশেভায় ইরানের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তিনটি ভবন গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ধারণা করছি, এই ভবনগুলোতে এখনও অনেকেই আটকে পড়ে আছেন।”

বিশেষ করে একটি ভবনের চতুর্থ তলার নিরাপদ কক্ষ থেকে অন্তত তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ভবনের বিভিন্ন কক্ষে আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে তৎপর রয়েছে ইসরায়েলের জরুরি উদ্ধারকারী দল ও ফায়ার সার্ভিস।
তবে উদ্ধারের কাজটি সহজ হচ্ছে না। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ভবনগুলোর বেশিরভাগ অংশ ধসে পড়েছে, আর ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা লোকজনের অবস্থান নিশ্চিত করাও জটিল হয়ে উঠেছে।

এদিকে, উদ্ধার অভিযান চলাকালেই বীরশেভা শহরে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কতা জারি করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। এতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। একদিকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের বাঁচাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকারীরা, অন্যদিকে আবারও হামলার সম্ভাবনায় তাদের জীবন হুমকির মুখে পড়ছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, মঙ্গলবার সকালেই ইরানের এই হামলায় অন্তত তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ইরান এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার না করলেও, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, এটি ছিল সরাসরি রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সামরিক হামলা। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই হামলা শুধু বীরশেভা নয়, বরং গোটা মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য এক নতুন সংকেত।

এদিকে বীরশেভার সাধারণ মানুষ চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। শহরের বাসিন্দা লিয়াহ তামার নামের এক নারী জানান, “ভোরবেলা বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। জানালা কেঁপে উঠে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আমাদের ভবনের নিচে ধ্বংসস্তূপ পড়ে থাকতে দেখি প্রতিবেশীদের।”

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করেছে এবং শহরের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। বীরশেভা এবং আশেপাশের অঞ্চলে বিমান প্রতিরক্ষা জোরদার করা হয়েছে।

এই হামলা স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার উত্তেজনা এখন শুধু কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই—এটি সরাসরি সামরিক সংঘাতে রূপ নিতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এই উত্তেজনা অব্যাহত থাকে, তাহলে মধ্যপ্রাচ্য শিগগিরই আরও বড় সংঘর্ষের দিকে ধাবিত হবে।

Tidak ada komentar yang ditemukan