close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ই রা নে র হা ম লা র পর কাতারের বড় সিদ্ধান্ত, খুলে দেওয়া হলো আকাশসীমা!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বন্ধ হওয়া কাতারের আকাশসীমা ফের চালু। বিমান চলাচলে স্বস্তি, ফিরে এসেছে স্বাভাবিকতা—বিবৃতি দিল বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ।..

মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনার জেরে বন্ধ করে দেওয়া কাতারের আকাশসীমা আবারও খুলে দেওয়া হয়েছে। ইরানের সামরিক শক্তির হুমকি এবং বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের আল উদেইদ ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনার পর আকাশপথে কড়াকড়ি আরোপ করে কাতার। তবে সেই সতর্কতামূলক নিষেধাজ্ঞা এখন প্রত্যাহার করেছে দেশটির সরকার।

কাতারের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আকাশসীমা এখন উন্মুক্ত এবং বিমান চলাচল স্বাভাবিক নিয়মেই পরিচালিত হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) আরবি ভাষায় প্রকাশিত বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

ঘটনার পরপরই ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির সম্ভাবনা দেখা দিলে কাতার তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিরক্ষা ঘাঁটির নিরাপত্তা ও আকাশপথ ব্যবস্থাপনায় কঠোর পদক্ষেপ নেয়। তবে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হওয়ায় আবারও স্বাভাবিকভাবে উড়োজাহাজ চলাচলের পথ উন্মুক্ত করা হয়েছে। ফলে দোহা হয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এয়ারলাইন্সগুলো ফের পূর্বের মতো ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে।

বিশেষ করে ইউরোপ-এশিয়া রুটের বিমান সংস্থাগুলোর জন্য এই সিদ্ধান্ত বড় স্বস্তি এনে দিয়েছে। অনেক এয়ারলাইন্স কাতারকে তাদের ট্রানজিট হাব হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।

অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, কাতারের এই পদক্ষেপ কেবল একটি নিরাপত্তাজনিত বিবেচনার ফল নয়—বরং এতে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার একটি বার্তাও রয়েছে। ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনার মধ্যে কাতার যেন এক প্রকার ভারসাম্য রক্ষা করে চলছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কাতার এমনভাবে তার ভূ-রাজনৈতিক কৌশল সাজাচ্ছে যাতে একদিকে তাদের আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে এবং অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তারা নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে পরিচিত হয়।

মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলো, বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন, কাতারের এই পদক্ষেপকে সতর্ক কিন্তু প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে। এর ফলে আকাশপথে চলাচলকারী বাণিজ্যিক বিমানগুলো নতুন করে রুট পরিবর্তন বা নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়বে না।

একই সঙ্গে আঞ্চলিক উত্তেজনা প্রশমনে কাতারের এই ঘোষণা একটি ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক সংস্থাগুলো।

ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঝুঁকির মধ্যেও কাতার পরিস্থিতির ওপর সক্রিয় নজর রেখে দুঃসাহসিক এক পদক্ষেপ নিয়েছে। আকাশসীমা পুনরায় খুলে দেওয়ার মাধ্যমে তারা যেমন বিশ্বব্যাপী বিমান চলাচল স্বাভাবিক করেছে, তেমনি নিজেদের ভূরাজনৈতিক অবস্থানকেও সংহত করেছে।

এই সিদ্ধান্ত শুধু আকাশপথেই নয়, মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতেও এক নতুন বার্তা ছড়িয়ে দিল—শান্তি ও ভারসাম্য রক্ষাই কাতারের অগ্রাধিকার।

لم يتم العثور على تعليقات