ইরানের ৬ বিমানবন্দরে ইসরায়েলের সুরক্ষিত হামলা, ধ্বংস ১৫টি উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টার
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে—ইরানের ভেতরে গভীরভাবে ঢুকে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সামরিক বাহিনীর দাবি অনুযায়ী, এসব হামলায় ইরানের অন্তত ১৫টি সামরিক উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টার একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। এই আক্রমণ ইরানের সামরিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় এক বিশাল ধস নামিয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, ইরানের পশ্চিম, পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলের ছয়টি বিমানঘাঁটিতে একযোগে হামলা চালানো হয়। এসব হামলায় ইসরায়েল ব্যবহার করেছে দূরনিয়ন্ত্রিত ড্রোন এবং মানবচালিত যুদ্ধবিমান, যা “ম্যানড-এন্ড-রিমোট সিস্টেম” নামে পরিচিত।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (পূর্বের টুইটার)-এ এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এসব হামলায় লক্ষ্য করা হয়
- 
রানওয়ে 
- 
ভূগর্ভস্থ অস্ত্রাগার 
- 
জ্বালানি পরিবহনকারী উড়োজাহাজ 
- 
যুদ্ধবিমানের স্টোরেজ হ্যাঙ্গার 
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই আক্রমণে ইরানের এফ-১৪ (F-14), এফ-৫ (F-5) ও এএইচ-১ (AH-1) সিরিজের যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টার চূড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব বিমান ছিল ইরানি বাহিনীর নিয়মিত আকাশ অভিযান পরিচালনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইসরায়েলি বাহিনী জোর দিয়ে জানায়, হামলার মাধ্যমে ইরানের বিমানঘাঁটিগুলোর উড্ডয়ন ও আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ‘চরমভাবে বিঘ্নিত’ হয়েছে। এখন থেকে ইরান সহজে আকাশপথে কোনো সামরিক প্রতিক্রিয়া জানাতে পারবে না বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
ঘটনার পর এখন পর্যন্ত ইরানের কোনো সরকারি মুখপাত্র বা সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, তেহরানের এই নীরবতা হয়তো দুই কারণে:
১) প্রথমত, বাস্তব ক্ষয়ক্ষতি বিশ্লেষণ করতে সময় নিচ্ছে তারা।
২) দ্বিতীয়ত, ইসরায়েলের বিপরীতে পাল্টা আক্রমণের কৌশলগত প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এই হামলার প্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন,এই ধরনের সুনির্দিষ্ট ও সফল হামলা সরাসরি যুদ্ধের আগাম বার্তা। ইরান পাল্টা জবাব দেবে, শুধু সময়ের অপেক্ষা।
তবে এটি নিছক একটি আঞ্চলিক সংঘর্ষ নয়—এই হামলার প্রভাব ছড়িয়ে পড়তে পারে ইউক্রেন যুদ্ধ, চীন-তাইওয়ান দ্বন্দ্ব এবং রাশিয়া-মার্কিন সম্পর্কের ভেতরেও।
ইসরায়েলের এই সংঘবদ্ধ বিমান হামলা মধ্যপ্রাচ্যের নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করেছে। ইরানের সামরিক শক্তি এবার কতোটা বিপর্যস্ত হয়েছে, সেটি পরবর্তী দিনে স্পষ্ট হবে। তবে এটুকু নিশ্চিত—আকাশে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে, এখন শুধু পাল্টা ঢেউয়ের অপেক্ষা।
 'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  
  
 
		 
				 
			



















 
					     
			 
						 
			 
			 
			 
			 
			 
			