close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ই রা ন-ই স রা য়ে লে র সঙ্গে কারা যু দ্ধ বিরতির জন্য যোগাযোগ করেছিল..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের গোপন কূটনৈতিক যোগাযোগেই ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা! কে কীভাবে যুক্ত ছিল জানলে আপনি অবাক হবেন—সবিস্তারে জেনে নিন এই ভেতরের নেপথ্য নাটক।..

মধ্যপ্রাচ্যের টান টান উত্তেজনার মাঝেই অবশেষে আলোচনার পথেই এগোচ্ছে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোয়াইট হাউসের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে—যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ও পরোক্ষভাবে উভয় পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে যুদ্ধবিরতির জন্য।

গত সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে একটি ফোনকলের মাধ্যমে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। ওই আলোচনায় ইসরায়েল জানিয়ে দেয়, যদি ইরান নতুন করে আর কোনো সামরিক আক্রমণ না চালায়, তবে তারাও পাল্টা হামলা থেকে বিরত থাকবে। অর্থাৎ, একপ্রকার সমঝোতার ভিত্তিতেই সাময়িক শান্তি আসতে যাচ্ছে।

কিন্তু শুধু ইসরায়েল নয়, হোয়াইট হাউসের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা ইরানের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। কেউ কেউ সরাসরি তেহরানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, আবার কেউ কেউ পরোক্ষ কূটনৈতিক চ্যানেল ব্যবহার করে যোগাযোগ করেছেন। উদ্দেশ্য একটাই—এই সংঘাত যেন আর না বাড়ে এবং স্থায়ী যুদ্ধের দিকে না গড়ায়।

হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তা বলেন, তেহরান যুদ্ধবিরতির প্রতি সম্মান দেখানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং তারা ইঙ্গিত দিয়েছে যে, এই শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে তারা সক্রিয়ভাবে কাজ করবে।

এই গোপন আলোচনায় অংশ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, এবং মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। তাঁরা সবাই কৌশলগত ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা করেছেন, যাতে করে উত্তেজনা প্রশমিত হয় এবং একটি টেকসই যুদ্ধবিরতির পরিবেশ সৃষ্টি করা যায়।

বিশেষ করে মার্কিন কূটনৈতিক দলের বিভিন্ন সদস্যদের মাধ্যমে আঞ্চলিক মিত্রদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হয়েছে—যেমন কাতার, ওমান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি শক্তিশালী রাষ্ট্র। তাঁদের ভূমিকা ছিল পরোক্ষভাবে ইরান ও ইসরায়েলকে একই টেবিলে না বসিয়েও সমঝোতার সেতুবন্ধন তৈরি করা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মুহূর্তে যদি ইরান ও ইসরায়েল সরাসরি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে তা মধ্যপ্রাচ্য তো বটেই, গোটা বিশ্বের নিরাপত্তার জন্য ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। এর ফলে তেল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে, বাড়বে অর্থনৈতিক অস্থিরতা, এবং বাড়তে থাকবে মানবিক বিপর্যয়।

তাই যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখছে অনেক আন্তর্জাতিক মহল। তবে কেউ কেউ এটিকেও দেখছে ভিন্ন চোখে—তাঁদের মতে, এটি নিছক সাময়িক একটি সমঝোতা, যা মূল সমস্যার সমাধান নয়।

বর্তমানে ইরান-ইসরায়েল সীমান্তে সাময়িক বিরতি থাকলেও, চূড়ান্ত শান্তি এখনো বহু দূরে। তবে এই গোপন আলোচনা ও কূটনৈতিক মধ্যস্থতার ফলেই হয়তো বিশ্ব এক ভয়াবহ যুদ্ধের হাত থেকে কিছুদিনের জন্য হলেও রক্ষা পেল।

নতুন করে হামলা না হলে, যুদ্ধবিরতির এই সুতার টান টান বাঁধন হয়তো স্থায়ী শান্তির রূপরেখা হিসেবেই ইতিহাসে স্থান পাবে।

Geen reacties gevonden