close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ই রা ন-ই স রা য়ে ল যু দ্ধ বিরতিতে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ৫ শতাংশ..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ৫%। বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ কমে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত মিলছে। তেলের বাজারে শুরু হয়েছে নতুন আশার অধ্যায়।..

বিশ্ব রাজনীতির উত্তাল মঞ্চে কিছুটা প্রশান্তির বাতাস বইছে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম নাটকীয়ভাবে কমেছে। এই যুদ্ধবিরতি কেবল মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা বৈশ্বিক অর্থনীতিতেই স্বস্তির বার্তা নিয়ে এসেছে।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ ডলারে। এর আগে সোমবারও এক ধাক্কায় ৭ শতাংশ কমেছিল এই তেলের দাম। যুদ্ধের হুমকিতে টালমাটাল হয়ে পড়া জ্বালানি বাজার এখন খানিকটা স্থিতিশীলতা খুঁজে পেয়েছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, চলমান এই যুদ্ধবিরতির ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের স্বস্তি এসেছে। হরমুজ প্রণালি বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় যে ভয়াবহ চাপ তৈরি হয়েছিল, তা অনেকটাই কমে এসেছে। তেল সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর থেকে আপাতত রাশ কিছুটা শিথিল হয়েছে।

এতদিন ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনায় হরমুজ প্রণালির নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপক শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। হরমুজ প্রণালি দিয়েই বিশ্বের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জ্বালানি সরবরাহ হয়ে থাকে। এই পথটি বন্ধ হয়ে গেলে জ্বালানি বাজারে তীব্র সংকট দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ছিল, যা তেলের দামে আগুন ধরিয়ে দিতে পারত।

কিন্তু যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ক্রুড অয়েলের বাজারে স্বস্তির ছায়া পড়েছে। মূলত বিনিয়োগকারীদের আশঙ্কা হ্রাস পাওয়ায় বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরেছে।

তেলের দামের ওপর নজর রাখা সংস্থাগুলোর মতে, এই হ্রাস যদি কয়েকদিন স্থায়ী থাকে, তাহলে বৈশ্বিক পরিবহন, শিল্প উৎপাদন এবং পণ্য সরবরাহের খরচ উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে। এতে বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতির চাপও খানিকটা লঘু হতে পারে।

বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, যুদ্ধ পরিস্থিতি যদি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে তেলের বাজারে আরও বড় ধরণের মূল্যহ্রাস দেখা যেতে পারে। তবে তাদের সতর্ক মন্তব্য—সেই শান্তি দীর্ঘস্থায়ী হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

এদিকে, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জ্বালানি কোম্পানি, রপ্তানিকারক দেশ ও আমদানিকারক দেশগুলোও পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। যারা আগে দাম বৃদ্ধির আশঙ্কায় মজুত বাড়িয়ে রেখেছিল, তারাও এখন সেই পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করছে।

বিশ্বব্যাপী পরিবহন খাতে এই দাম কমার সরাসরি প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। অনেক দেশে বিমানসংস্থাগুলো ইতিমধ্যেই নতুন জ্বালানি মূল্য সমন্বয়ের পরিকল্পনা নিচ্ছে।

সব মিলিয়ে, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির ফলে জ্বালানি বাজারে যে স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয়া গেছে, তা কেবল সাময়িক না হয়ে দীর্ঘস্থায়ী শান্তির সেতুবন্ধন তৈরি করে—এমনটিই প্রত্যাশা সবার।

Inga kommentarer hittades


News Card Generator