close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি, এবং হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সম্মানিত চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ (৯১) আর নেই। তিনি রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে মগবাজার ইনসাফ বারাকা কিডনি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দুই মাস ধরে অসুস্থ, তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বিচারপতি আবদুর রউফের অবদান: একটি গৌরবময় রাজনৈতিক জীবন
বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ বাংলাদেশের নির্বাচনী ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি পঞ্চম সংসদ নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচনী কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এই কমিশনের অধীনে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল এক গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বিএনপি ১৪০ এবং আওয়ামী লীগ ৮৮টি আসন লাভ করেছিল।
তার কমিশন নির্বাচন আইন সংশোধন করে এবং নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ জারি করে, যা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়। যদিও তার নেতৃত্বে নির্বাচন হয়েছিল প্রশংসিত, তবে ১৯৯৪ সালে বিএনপির শাসনামলে মাগুরা উপ-নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন তিনি।
রাজনৈতিক ও বিচারিক জীবন: আস্থা এবং সমালোচনার মাঝে
বিচারপতি আবদুর রউফের কর্মজীবন কেবল নির্বাচনী কমিশনেই সীমাবদ্ধ ছিল না। তার দীর্ঘ বিচারিক জীবনের মধ্যে তিনি দেশের আইনগত পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার বিচক্ষণতা ও নিষ্ঠা তাকে রাজনৈতিক এবং বিচারিক মহলে বিশেষ মর্যাদার অধিকারী করে তুলেছিল।
তবে, তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আট মাস আগে সিইসির পদ ছেড়ে ফের আদালতে ফিরে যান তিনি। তার সিইসি হিসেবে সময়ে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনা, বিশেষত বিএনপির শাসনামলে মাগুরা উপ-নির্বাচন এবং পরবর্তী বিতর্ক তাকে সমালোচনার শিকারও করেছিল।
পারিবারিক জীবন ও অবশেষ
বিচারপতি আবদুর রউফের মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। তার একান্ত সহকারী তাওহিদ এই শোক সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন। পরিবারের সদস্যরা এখন তার শেষকৃত্য ও পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিবেন। তার মৃত্যুর খবরে দেশের বিভিন্ন মহলে শোকের বন্যা বইছে।
আজীবন তার কাজ এবং নিষ্ঠা মানুষের মনে থাকবে। তার অবদান দেশের বিচারিক ও নির্বাচনী ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় অধ্যায় হয়ে থাকবে।
Nessun commento trovato