কুমিল্লার হোমনা থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকা এক নারী আসামির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, ওই নারী থানার নারী ও শিশু হেল্প ডেক্স কক্ষের ভেতরে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
নিহত নারীর নাম হামিদা ওরফে ববিতা (৩২)। তিনি উপজেলার ঘনিয়ারচর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মো. খলিল মিয়ার স্ত্রী।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে হামিদা তার সতীনের ছেলে সায়মন (১১)-এর পেটে ছুরিকাঘাত করেন। গুরুতর আহত সায়মনকে প্রথমে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে সে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন হামিদাকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ বুধবার বিকেল ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় আহত সায়মনের চাচা স্বপন মিয়া বাদী হয়ে রাতেই থানায় মামলা দায়ের করেন। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে ডিউটিরত পুলিশ সদস্যরা কক্ষের ভেতরে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার মরদেহ ঝুলতে দেখেন।
ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে হোমনা-মেঘনা সার্কেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থানা পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে। মরদেহটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এ বিষয়ে হোমনা থানার ওসি'র মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি এখন ব্যস্ত আছি, সেকেন্ড অফিসারের সঙ্গে কথা বলুন।”
ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। থানা হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।



















