পবিত্র হজের ধর্মীয় দায়িত্ব সম্পন্ন করে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশে ফিরতে শুরু করেছেন হাজিরা। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অফিস জানায়, বুধবার পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন মোট ৬৩ হাজার ১৮৮ জন হাজি। তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ফিরেছেন ৫ হাজার ৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ফিরেছেন ৫৮ হাজার ১৮১ জন।
তবে এবারের হজযাত্রায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৪২ জন বাংলাদেশি। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অফিস জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৩১ জন ও নারী ১১ জন। বেশিরভাগ মৃত্যু হয়েছে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা ও দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক জটিলতার কারণে।
অন্যদিকে, সৌদি আরবে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেছেন ৩২০ জন হজযাত্রী, যাদের মধ্যে এখনো ২০ জন স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
হজ ফ্লাইট পরিচালনায় যুক্ত ছিল তিনটি বিমান সংস্থা:
-
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স: ২৮,৪২৭ জন হাজি
-
সৌদি এয়ারলাইন্স: ২৫,৯৮৫ জন হাজি
-
ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স: ৮,৭৭৬ জন হাজি
এখন পর্যন্ত মোট ১৬৮টি ফিরতি হজ ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। তার মধ্যে:
-
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালনা করেছে ৭৬টি ফ্লাইট
-
সৌদি এয়ারলাইন্স ৬৯টি
-
ফ্লাইনাস পরিচালনা করেছে ২৩টি
হজ কার্যক্রমের সূচনা হয় গত ২৯ এপ্রিল, প্রথম বহির্গামী হজ ফ্লাইটের মাধ্যমে। এই বহির্গমন পর্ব চলে ৩১ মে পর্যন্ত। এরপর শুরু হয় হজ পালন এবং ফেরার প্রক্রিয়া। ১০ জুন থেকে শুরু হয় ফিরতি হজ ফ্লাইট, যা চলবে ১০ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিদিনই নির্দিষ্ট ফ্লাইটের মাধ্যমে হাজিরা দেশে ফিরছেন।
বাংলাদেশি হাজিদের যাত্রা, থাকা, খাওয়া, চিকিৎসা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ হজ অফিস সৌদি আরবে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে। মৃত্যুবরণকারী হাজিদের নাম, বয়স, পরিচয় ও মৃত্যুর কারণ সংরক্ষণ ও ঘোষণা করা হচ্ছে নিয়মিত।
সৌদি সরকারের পক্ষ থেকেও বাংলাদেশি হজ মিশনের সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ চালানো হয়েছে। চিকিৎসা, এম্বুলেন্স, হাসপাতাল ভর্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সহযোগিতা পেয়েছেন বাংলাদেশিরা।
এই বছর হজযাত্রায় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু হলেও বেশিরভাগ হাজি সফলভাবে হজ পালন করে নিরাপদে দেশে ফিরেছেন। এখনো কয়েক হাজার হাজির দেশে ফেরার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
সরকার জানিয়েছে, যেসব হাজিরা দেশে ফিরেছেন তাদের অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করে আগামী বছর হজ ব্যবস্থাপনায় আরও উন্নয়ন আনা হবে।