close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

হেলমেট-মাস্ক পরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ভোরের নিস্তব্ধতা ভেঙে হঠাৎ মুখ ঢাকা মিছিল! মানিকগঞ্জে ফের হেলমেট ও মাস্ক পরে ঝটিকা মিছিলে অংশ নিল নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পুলিশের টার্গেটে নেতৃত্বদানকারী নেতারা। ঘটনা ঘি..

ভোর হতেই উত্তেজনা ছড়াল মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায়। বুধবার (২ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টায় নয়াডিঙ্গি এলাকার কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সামনে এক ঝটিকা মিছিলের সূচনা ঘটে — যেখানে অংশ নেন নিষিদ্ধ ঘোষিত দল আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের অন্তত ১৫ নেতাকর্মী। তাদের মুখ ঢাকা ছিল হেলমেট ও মাস্কে, যেন পরিচয় গোপন রাখাই ছিল প্রধান লক্ষ্য।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিলটি মাত্র ১০ মিনিট স্থায়ী হয়। নয়াডিঙ্গি থেকে শুরু হয়ে তা ধামরাইয়ের বারবারিয়া বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত যায়। পুরো মিছিল জুড়ে স্লোগান ছিল স্পষ্টতই সরকারের বর্তমান কাঠামোর বিরুদ্ধে।

এই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন তিল্লী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুরছালিন বাবু সহ আরও কয়েকজন পরিচিত মুখ।

আরও বিতর্ক ছড়ায়, যখন রাজিদুল ইসলাম নিজেই তার ফেসবুক আইডিতে মিছিলের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেন, যেখানে তাকে স্পষ্টভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে শোনা যায়। এতে তার পরিচয় এবং সংশ্লিষ্টতা আরও পরিষ্কার হয়ে ওঠে।

সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, “মানিকগঞ্জ ও ধামরাইয়ের সীমান্ত এলাকায় এই মিছিল হয়েছে। যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং প্রয়োজনীয় হলে দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।

এর আগেও ঠিক একই পদ্ধতিতে মিছিলের ঘটনা ঘটেছে মানিকগঞ্জে।

  • গত ১৮ মার্চ সকালে মানিকগঞ্জ পৌরসভার নবগ্রাম এলাকায়

  • এবং ১৫ জুন ভোরে সাটুরিয়ার নয়াডিঙ্গিতে — একই কৌশলে হেলমেট-মাস্ক পরিহিত আওয়ামী সমর্থকদের মিছিল দেখা যায়।

বিশ্লেষকদের মতে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির পরও বারবার মাঠে নামা প্রমাণ করে দলটি এখনও সংগঠিত এবং সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে। হেলমেট ও মাস্ক ব্যবহারের পেছনে তাদের কৌশলগত চিন্তা রয়েছে — যাতে চিহ্নিত না হয়েও তারা বার্তা পৌঁছে দিতে পারে।

স্থানীয়দের মধ্যে এই আচমকা মিছিল নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন, প্রশাসনের নজর এড়িয়ে এমন কর্মসূচি ভবিষ্যতে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলার জন্ম দিতে পারে।

উল্লেখযোগ্য যে, হেলমেট-মাস্ক পরা এই নতুন ধারার গোপন রাজনৈতিক আন্দোলন এখন প্রশাসনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

کوئی تبصرہ نہیں ملا