close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

হাসপাতালে হামলার জবাবে ইরানকে ‘চড়া মূল্য দিতে হবে’: নেতানিয়াহু..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বেসামরিক হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দায়ে ইরানকে চরম মূল্য দিতে বাধ্য করা হবে—সরাসরি হুঁশিয়ারি দিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা এখন আগুনের সীমানায়!..

তেলআবিব-তেহরান উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু এখন একটিই: হাসপাতাল।
ইসরায়েলের বেয়ার শেভা শহরের সোরোকা মেডিকেল সেন্টারে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে উত্তেজনার মাত্রা নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। মঙ্গলবার সকালে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, এই বর্বরোচিত হামলার জন্য তেহরানকে ‘চড়া মূল্য’ দিতে বাধ্য করা হবে।

নেতানিয়াহু বলেন, “আজ সকালে ইরানের সন্ত্রাসী শাসকগোষ্ঠী সরাসরি আমাদের হাসপাতাল এবং বেসামরিক জনগণের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এই হামলা কেবল আমাদের নাগরিকদের নয়, মানবতার ওপরও এক ন্যক্কারজনক আঘাত। তেহরানের স্বৈরাচারীদের এ জন্য দায় নিতে হবে।”

সোরোকা হাসপাতালে চালানো হামলায় মারাত্মক কাঠামোগত ক্ষতির সৃষ্টি হলেও ভাগ্যক্রমে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী নিশ্চিত করেছে। তবে হাসপাতালের একাধিক ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এবং রোগীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয় দ্রুত।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে যুদ্ধের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলা ও নেতানিয়াহুর কড়া হুঁশিয়ারি ইঙ্গিত দিচ্ছে—ইসরায়েল হয়ত এবার সরাসরি ইরানের মূল ভূখণ্ডে পাল্টা সামরিক অভিযান চালাতে পারে। এর আগে ইরান ছায়াযুদ্ধ বা গোপন হামলার মাধ্যমে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, কিন্তু এবার প্রকাশ্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলা দিয়ে পরিস্থিতিকে ‘লাল সীমার’ ওপারে নিয়ে গেছে।

ইসরায়েলি নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইলান হোড বলেন, “এই হামলা একটি স্পষ্ট বার্তা—ইরান আর পরোক্ষ যুদ্ধের মধ্যে নেই। তারা সরাসরি জড়িয়েছে, এবং এর জবাব খুবই রক্তক্ষয়ী হতে পারে।

হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছে। হোয়াইট হাউস জানায়, তারা ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে পূর্ণ সমর্থন জানায় এবং এই হামলার নিন্দা জানায়।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, “হাসপাতাল বা বেসামরিক স্থাপনায় যেকোনো হামলা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত ও জবাবদিহি প্রয়োজন।

ইরানের পক্ষ থেকে এখনো এই হামলার দায় স্বীকার করা হয়নি। তেহরানের সরকারপন্থী সংবাদমাধ্যমগুলো হামলাটিকে “সম্ভবত পাল্টা প্রতিক্রিয়া” হিসেবে আখ্যা দিয়েছে, তবে সরাসরি দায় স্বীকার করা থেকে বিরত রয়েছে। তবুও সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, হামলায় ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রের ধরণ এবং উৎক্ষেপণ পদ্ধতি ইঙ্গিত দেয়, এটি ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড বা তাদের সমর্থিত কোনো গোষ্ঠীর কাজ হতে পারে।

মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে যখনই কিছুটা স্থিতিশীলতা দেখা দেয়, তখনই নতুন কোনো উত্তেজনার ঢেউ আঘাত হানে। এই হামলা ও নেতানিয়াহুর প্রতিক্রিয়া এখন গোটা অঞ্চলকে এক নতুন সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যুদ্ধ কি আসন্ন? এই প্রশ্নের উত্তর এখন সময়ই দেবে।

Geen reacties gevonden