close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

হাজ কাসেম ক্ষেপণাস্ত্রে কাঁপছে তেলআবিব, ইরানের দাবি প্রতিরক্ষা ভেদ করে সফল আঘাত..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরানের ছোড়া একের পর এক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে কাঁপছে ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিবসহ বিভিন্ন শহর। আয়রন ডোম, ডেভিড’স স্লিং কিংবা অ্যারো সিস্টেম—সব প্রতিরক্ষা স্তরকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে ইরানের নতুন প্..

রোববার (১৫ জুন) স্থানীয় সময় ভোররাতে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে চালানো সর্বশেষ হামলায় এই নতুন ধরনের মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তেহরান। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজের বরাতে খবরটি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সিএনএন।

‘হাজ কাসেম’ ক্ষেপণাস্ত্রটি ইরান আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে চলতি বছরের মে মাসের প্রথম সপ্তাহে। এরপর থেকেই এটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল আজিজ নাসিরজাদে জানান, এই মিসাইল যুক্তরাষ্ট্রের THAAD, প্যাট্রিয়টসহ ইসরায়েলের ব্যবহৃত বিভিন্ন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম।

তাসনিম বার্তা সংস্থার তথ্য অনুসারে, ‘হাজ কাসেম’-এর পাল্লা প্রায় ১,২০০ কিলোমিটার। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক ন্যাভিগেশন প্রযুক্তি এবং ইলেকট্রনিক জ্যামিং রোধ করার সক্ষমতা। বিশেষভাবে চালনাযোগ্য ওয়ারহেড থাকায় এটি প্রতিপক্ষের রাডার বা প্রতিরক্ষা কাঠামোকে ফাঁকি দিতে পারে।

এই মিসাইলের নামকরণ করা হয়েছে কুদস বাহিনীর সাবেক কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানির নামে, যিনি ২০২০ সালে বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন। ফলে ক্ষেপণাস্ত্রটি কেবল প্রযুক্তির প্রতিফলন নয়, বরং রাজনৈতিক ও প্রতীকী বার্তা হিসেবেও দেখা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলা ও নতুন মিসাইল ব্যবহারের মাধ্যমে ইরান স্পষ্টভাবে তাদের সামরিক সক্ষমতার একটি নতুন অধ্যায় শুরু করলো। অন্যদিকে, ইসরায়েলের বহুস্তর প্রতিরক্ষা কাঠামোর কার্যকারিতা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ‘হাজ কাসেম’ ক্ষেপণাস্ত্র যেন এক নতুন মোড় তৈরি করেছে—যেখানে প্রযুক্তি, প্রতিশোধ ও প্রতিরক্ষা এক বিস্ফোরক বাস্তবতায় রূপ নিচ্ছে।

No comments found


News Card Generator