close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

হাবিপ্রবিতে সাংবাদিক সমিতির অফিসে ভাঙচুর 

Abdus Sattar avatar   
Abdus Sattar
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) সাংবাদিক সমিতির অফিসকক্ষে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল কর্মী শামীম আশরাফীর বিরুদ্ধে।..

দিনাজপুর প্রতিনিধি
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) সাংবাদিক সমিতির অফিসকক্ষে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল কর্মী শামীম আশরাফীর বিরুদ্ধে।

 জানাযায়  বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হলের ৫০৮ নম্বর কক্ষে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোঃ রোকন অবৈধভাবে ওঠার খবর সাংবাদিক সমিতির পেজে প্রকাশিত হওয়ায় এই ঘটনা ঘটে।

রোববার (২৯ জুন) রাতে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়, যখন হল সুপার কক্ষটি ছেড়ে দিতে নির্দেশ দেন। এই বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে লেখালেখি শুরু হয়, যেখানে শামীম আশরাফী হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতিকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান এবং তা না করলে নতুনভাবে 'সাংবাদিকতা শেখানো' হবে বলে হুমকি দেন। 
সোমবার (৩০ জুন) সন্ধ্যায় শামীম আশরাফী ও আরও কয়েকজন সাংবাদিক সমিতির অফিসে গিয়ে চাবি দাবি করে। চাবি না পেয়ে তারা অফিসের কাঁচের দরজা লাথি মেরে ভেঙে ফেলে এবং ক্যাফেটেরিয়ায় ভাঙচুর চালায়। তবে, ওই সময় অফিসকক্ষে কোনও সাংবাদিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহা এ বিষয়ে বলেন, "ভাঙচুর হওয়া অফিস রুম পরিদর্শন করেছি এবং এ ধরনের ভাঙচুরের ঘটনা এবারই প্রথম। প্রত্যক্ষদর্শীদের সহযোগিতায় একজনকে শনাক্ত করেছি এবং এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার আশ্বাস দিয়ে  বলেন আমি নিজে বিষয়টি দায়িত্ব নিয়ে দেখবো এবং প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নিবো।

 হাবিপ্রবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক বার্নাড পলাশ বলেন ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে সে ভাঙচুর করে নাই। এটি পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের নিজস্ব ইস্যু এবং এর দায় ছাত্রদল নিবে না।

হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি গোলাম ফাহিমুল্লাহ বলেন  হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির অফিসরুম ভাঙচুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য কালো থাবা। এমন নিকৃষ্ট কাজ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের আমলেও করার কেউ সাহস দেখায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠনকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষীদের শনাক্ত করে কঠোরতম শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

সাংবাদিক সমিতির  সাধারণ সম্পাদক তানভীর হোসাইন বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই, হামলাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে যথাযথ শাস্তির আওতায় আনতে হবে। একইসাথে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও ক্যাম্পাসে মুক্ত ও স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ বজায় রাখা প্রশাসনের মৌলিক দায়িত্ব।"এই ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। 

 

 

没有找到评论