জাতীয় টেলিযোগাযোগ নজরদারির সংস্থা (এনটিএমসি)-এর সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানকে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার (ক্রসফায়ার) অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। এই মামলায় বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এনটিএমসি-এর সাবেক প্রধান জিয়াউল আহসান সহ মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ৬ জানুয়ারি, এই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, এবং জিয়াউল আহসান।
এর আগে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১০ ফেব্রুয়ারি এ ব্যাপারে একটি গুরুত্বপূর্ণ আদেশ দেয়। ট্রাইব্যুনাল দাবি করেছে, আসামিদের যথাযথ ও কার্যকর তদন্তের জন্য গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন। এই মামলায় মূলত, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, এবং এটি আইনগতভাবে তদন্তের প্রয়োজনে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
জিয়াউল আহসানকে এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আরেক অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে। আইন অনুযায়ী, এসব অভিযোগের বিরুদ্ধে জিয়াউল আহসান এবং অন্যান্য আসামিদের যথাযথ বিচার ও তদন্তের মাধ্যমে আইন সঙ্গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যেখানে সরকারের সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হচ্ছে, যা দেশের আইন ও ন্যায়বিচারের প্রতি আস্থা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে নেয়া হচ্ছে।
এদিকে, আইনপ্রণেতা, আইনজ্ঞ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলি এই মামলার দিকে গভীর নজর রাখছে, যেন দেশের জনগণের মধ্যে ন্যায়বিচারের প্রতি বিশ্বাস বজায় থাকে।
এই খবরটি ইতিমধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনায় এসেছে, এবং ভবিষ্যতে এটি আরো বড় আইনি ও রাজনৈতিক বিতর্কের সৃষ্টি করতে পারে।
No comments found