close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

গ্রামের পথে পথে পশুর হাট

Imran Hossain avatar   
Imran Hossain
****

দক্ষিণ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ও লোকালয়ে বসেছে অস্থায়ী পশুর হাট। হাসিলের জামেলা থেকে বাঁচতে অনেকেই এসব এলাকায় গিয়েও পছন্দের গরু, ছাগল ও মহিষ কিনছেন।

এতে করে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন পশুর হাটের ইজারাদাররা। অন্যদিকে সরকারও পাচ্ছেনা কোন রাজস্ব। অন্যদিকে এসব পশুর হাট বন্ধ করতে প্রশাসনের সহায়তা চেয়েছেন বাজারের ইজারাদারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, কর্ণফুলীর ফকিনীরহাট, ফাজিলখার হাটে, বড়উঠান মিয়ার হাট, আনোয়ারার দক্ষিণ বন্দর, বারশতের বোয়ালিয়ার মোড়, বৈরাগ চায়না ইকোনমিক জোন, কাফকো সেন্টার, তেলের দোকান, বখতিয়ারপাড়া, কালিবাড়ি, পরৈকোড়া, সিইউএফএলসহ প্রায় ২০টি স্থানে পশু সাজিয়ে বেপারিদের পশুর হাট বসেছে। এসব হাটে ২০ থেকে ১০০টি পশু বিক্রির জন্য রাখা হয়। হাটের ঝামেলা এড়াতে লোকজন এসব হাট থেকে পছন্দের গরু, ছাগল ও মহিষ কিনে নেন। এসব হাটের প্রভাব পড়েছে সরকারের ইজারাকৃত পশুর বাজার গুলোতে। অনেকে হাটে দেখা নেই ক্রেতার। উপজেলা পরিষদ সূত্র জানায়, চলতি বছর কর্ণফুলীতে দুইটি, আনোয়ারায় ১৯টি হাট বাজার সরকারি ভাবে ইজারা প্রদান করা হয়।

তৈলারদ্বীপ সরকার হাট পশুর বাজারের ইজারাদার ক্যাপ্টেন নুর মুহাম্মদ বলেন, সাড়ে ৬ কোটি ৬১ লাখ টাকায় বাজার ইজারা নিয়েছি শুধু কোরবানি বাজারের দিকে চেয়ে। কিন্তু উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার মোড়ে-মোড়ে পশুর হাট বসার কারণে আমাদের বাজারে প্রভাব পড়ছে। এতে করে আমরা বিরাট ক্ষতির মুখে পড়ব।

চাতরী চৌমহনী বাজারের ইজারাদার জাকির আহমদ বলেন, কোরবানিতে দুইটি বাজার পেয়েছি আমরা। শনিবার বৃষ্টির কারণে আমরা ক্রেতা-বিক্রেতা শূণ্য ছিল। আজ মঙ্গলবার শেষ বাজারে বেচাবিক্রির আশা করছি। বিভিন্নস্থানে অবৈধভাবে বসা পশুর অস্থায়ী হাট গুলো বন্ধ না করলে ক্ষতিতে পড়ব আমরা।

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার বলেন, ‘সরকারি ইজারাকৃত নির্দিষ্ট স্থানছাড়া অন্য কোথাও পশুর বাজার বসার সুযোগ নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

No comments found


News Card Generator