close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

গোপালগঞ্জ-০১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম কিনলেন আশরাফুল আলম শিমুল৷৷..

Md Mamun Molla avatar   
Md Mamun Molla
****

গোপালগঞ্জ-০১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম কিনলেন আশরাফুল আলম শিমুল৷৷                                                         মোঃ মামুন মোল্লা মুকসুদপুর  প্রতিনিধি 
গোপালগঞ্জ-০১ সংসদীয় আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন মুকসুদপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও আলোচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আশরাফুল আলম শিমুল। তার মনোনয়ন সংগ্রহের খবরে এ আসনের নির্বাচনী সমীকরণে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা।
আশরাফুল আলম শিমুলের পিতা খায়রুল বাকী মিয়া ১৯৮৫ সালে মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। তার সময়ে নেওয়া নানা উন্নয়ন উদ্যোগের কারণে পুরো উপজেলাজুড়ে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
পিতার সেই সুনাম ও নিজস্ব রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতাকে পুঁজি করে আশরাফুল আলম শিমুল ২০০৯ সালে উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান এবং ২০১৪ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি এ পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, প্রতিটিতেই বিজয়ী হয়েছেন। নানা প্রতিকূলতা ও বাধা অতিক্রম করেও নির্বাচনী মাঠে নিজের শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জ-০১ সংসদীয় আসনটি মুকসুদপুর উপজেলা এবং কাশিয়ানী উপজেলার অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ আসনে বিএনপি থেকে সেলিমুজ্জামান সেলিম, এনসিপি থেকে প্রলয় কুমার পাল, আমজনতা দল থেকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কাবির মিয়া, এবি পার্টি থেকে প্রিন্স আল আমিন, জনতা দল থেকে মো. জাকির হোসেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে ইমরান হোসেন আফসারী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আশরাফুল আলম শিমুল, এম আনিসুল ইসলাম ও মো. সুজাউদ্দিন অপুসহ মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
তবে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী সাবেক আমীর মওলানা আব্দুর হামিদ এখনো মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের পর প্রতিক্রিয়ায় আশরাফুল আলম শিমুল বলেন,
“এই আসনের মানুষ আমার পিতাকে ভালোবাসতেন। সেই ভালোবাসার ধারাবাহিকতায় প্রতিটি নির্বাচনে জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছে। মানুষ আমাদের পরিবারকে ভোট দিতে স্বস্তি অনুভব করে। আমরাও সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।
পদ্মা সেতুর কারণে গোপালগঞ্জ-০১ আসন এখন ভৌগোলিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি নির্বাচিত হলে এখানে নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে তুলে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটিয়ে মানুষের নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করাই হবে আমার প্রধান লক্ষ্য।”
উল্লেখ্য, আশরাফুল আলম শিমুলের পিতা খায়রুল বাকী মিয়া ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে গোপালগঞ্জ-০১ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এলাকায় যেমন পিতার জনপ্রিয়তা ছিল, তেমনি তার উত্তরসূরি হিসেবেও আশরাফুল আলম শিমুল বর্তমানে একজন শক্তিশালী ও জনপ্রিয় প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন।

Geen reacties gevonden


News Card Generator