close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট: চব্বিশের ঘটনা ও বর্তমান বিচার প্রক্রিয়া..

Mahamud Mithu avatar   
Mahamud Mithu
চিফ প্রসিকিউটরের বক্তব্যে উঠে এল চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট ও বর্তমান বিচার প্রক্রিয়ার তথ্য।..

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় উল্লেখ করেন যে, গত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকার ক্রমান্বয়ে একটি দানবীয় রূপ ধারণ করেছে। এতে করে ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থান অনিবার্য হয়ে পড়েছিল। 

চিফ প্রসিকিউটরের বক্তব্যে আরও উঠে আসে, পিলখানা হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে গুম-খুনের কালচার এবং নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংসের মতো ঘটনাবলির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে একটি সংকটাপন্ন অবস্থায় নিয়ে যায়। তিনি বলেন, "জনগণকে নির্যাতন করা, হত্যা করা এবং একটি ভয়ের রাজত্ব কায়েম করা তাদের মূল লক্ষ্য ছিল।"

এই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ হিসেবে উপস্থিত হন ৫৪ জন সাক্ষী, যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন গণঅভ্যুত্থানের প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের পিতা এবং অন্যান্য স্বজনহারা পরিবার।

মামলার প্রেক্ষাপটে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য প্রদান করেন। চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম এই মামলার পক্ষে শুনানি করছেন। 

অন্যদিকে, পলাতক শেখ হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন শুনানি পরিচালনা করছেন। এই মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হিসেবে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হন।

এছাড়াও, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে এবং অপরটি মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা হয়েছে। 

এই মামলার রায়ের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব পড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মত প্রকাশ করেছেন। সাম্প্রতিক অতীতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাগুলো নিয়ে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিসরে ব্যাপক আলোচনা চলছে।

No se encontraron comentarios


News Card Generator