close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের মিরপুর সড়ক অবরোধ, সুচিকিৎসা ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে চরম অস্থিরতা


রাজধানীর মিরপুর সড়কে আজ রোববার সকাল থেকেই চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে, যখন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত বেশ কয়েকজন প্রতিবাদী রাজস্ব ভবন থেকে শুরু করে টিবি হাসপাতাল পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করেন। আন্দোলনকারীরা এর আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এই সড়কে অবস্থান নিতে শুরু করেন, যাতে চলাচলকারী যানবাহন রুদ্ধ হয়ে পড়ে এবং আশপাশে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়।
আন্দোলনকারীদের অন্যতম দাবির মধ্যে রয়েছে সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন, এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। তাঁরা দাবি করছেন, সরকারী হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না পাওয়ায় তারা অত্যন্ত দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন। আহতদের একজন কবির হোসেন জানান, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে তাঁর চোখে গুলি লেগেছিল, কিন্তু বর্তমানে তিনি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, “জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে যেতে গিয়ে চিকিৎসকরা মাত্র কিছু ব্যথার ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দেন, যা আমার অবস্থার উন্নতি ঘটাচ্ছে না।”
আন্দোলনকারীরা এদিন মিরপুর সড়কে একযোগে অবস্থান নিয়ে সড়কটি অবরোধ করেন, যাতে সড়কটির সবদিক থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ পরিস্থিতি দেখে অনেক পথচারীও চরম দুর্ভোগে পড়েন। প্রতিবাদকারীরা অভিযোগ করেন, সরকার তাদের চিকিৎসার জন্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা এখন পর্যন্ত পূর্ণ হয়নি।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আহতদের মধ্যে ছিলেন মো. দুলাল, যিনি হাতের আঘাতে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বলেন, “সরকার আমাদের সুচিকিৎসার জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু তিন মাস পার হয়ে যাওয়ার পরও সেই প্রতিশ্রুতি পূর্ণ হয়নি।”
এছাড়াও, আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছেন যে, জুলাই ফাউন্ডেশন থেকে যে সহায়তার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল তা অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছে, যার কারণে তাদের মধ্যে ক্ষোভ বেড়ে চলেছে। তাঁদের মতে, এসব প্রতিবন্ধকতার কারণে তাঁদের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না।
আন্দোলনকারীদের অনেকেই রাস্তার মাঝে চাদর বিছিয়ে শুয়ে আছেন এবং বেঞ্চে বসে অবস্থান নিয়েছেন, যাতে তাদের দাবি সামনে আনা যায়। আহতরা আরও দাবি করছেন, যদি সরকার তাদের দাবিগুলি মেনে না নেয়, তাহলে তারা আগামীতে সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, আন্দোলন অব্যাহত ছিল এবং কিছু সময়ের জন্য মিরপুর সড়কটির পরিবহন ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ ছিল। পথচারীরা পরিস্থিতির চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন, এবং আশেপাশের অঞ্চলে যানজট সৃষ্টি হওয়ায় সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে।
এই অবস্থায়, সরকারি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যে, দ্রুত আহতদের দাবি পূরণ করা হোক এবং তাদের সুচিকিৎসা ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির বিষয়টি সমাধান করা হোক।
Tidak ada komentar yang ditemukan