close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
গাজায় নতুন সংঘাতের আশঙ্কা! যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলকে সরাসরি হুমকি দিলো ইয়েমেনের হুথিরা


ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা নতুন করে বড় ধরনের হামলার হুমকি দিয়েছে। তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, যদি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করার চেষ্টা করে, তাহলে তারা অবিলম্বে সামরিক প্রতিশোধ নেবে।
হুথি নেতার সরাসরি ঘোষণা
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) হুথিদের নেতা আব্দুল মালিক আল-হুথি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে এ হুমকি দেন। তিনি বলেন, "যদি গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করা হয়, তাহলে আমাদের প্রতিরোধ বাহিনী শত্রুদের ওপর সরাসরি আক্রমণ চালাবে। আমাদের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত। ইসরায়েলের পাশাপাশি লোহিত সাগরেও সামরিক অভিযান চলবে।"
যুদ্ধবিরতি ভাঙার শঙ্কা! উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য
গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। কিন্তু পরস্পরের শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ইসরায়েল ও হামাস একে অপরকে দায়ী করছে। ফলে নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ট্রাম্পের বিতর্কিত পরিকল্পনা এবং আরব বিশ্বের ক্ষোভ
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ করার পরিকল্পনার কথা বলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, "গাজাকে মনোরম সমুদ্রসৈকতে পরিণত করা হবে।" এতে আরব বিশ্ব চরম ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হুথিদের সামরিক হুমকি
হুথি নেতা আব্দুল মালিক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, "আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী প্রস্তুত! অপরাধী ট্রাম্প যদি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায়, তাহলে আমরা যুদ্ধের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।"
⚡ কী ঘটতে পারে? ⚡
🔹 ইসরায়েলের ভূখণ্ডে আবারও ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হতে পারে।
🔹 লোহিত সাগরের বাণিজ্যিক জাহাজ হুমকির মুখে পড়বে।
🔹 যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের বিরুদ্ধে সরাসরি হামলা চালাতে পারে হুথিরা।
ইতিহাস বলছে— হুথিদের ভয়ংকর হামলা
২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে হুথিরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ১০০টিরও বেশি জাহাজে হামলা চালিয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী শিপিং ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করেছে। এরপর গত বছরের শেষ দিকে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলাও চালায় তারা।
যদিও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশিরভাগ আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছিল, তবুও কিছু হামলায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাল্টা জবাবে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র হুথিদের বিভিন্ন ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালিয়েছে।
লোহিত সাগরে উত্তেজনা বাড়ছেই!
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হুথিদের সামরিক অভিযান বিশ্ব অর্থনীতির ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে। লোহিত সাগরের বাণিজ্যিক জাহাজগুলো এই হামলার মুখে পড়লে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি ও পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
এখন প্রশ্ন হলো, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল কীভাবে এই হুমকির জবাব দেবে? হুথিদের হুমকি বাস্তবায়িত হলে কি নতুন যুদ্ধ শুরু হবে?
Nema komentara