close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

গাজায় খাবারের জন্য হাহাকার, না খেতে পেয়ে মরল ২৯ ফিলিস্তিনি..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
গাজার মানুষেরা এখন বাঁচার জন্য শুধু বোমা নয়, ক্ষুধার সাথেও যুদ্ধ করছে। ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে থাকা লাশের সংখ্যা বাড়ছে, আর খাদ্যের অভাবে শিশু ও বৃদ্ধরা মারা যাচ্ছে। ভয়াবহ এই মানবিক বিপর্য..

গাজায় বোমার চেয়েও ভয়ংকর এখন ক্ষুধা — ২৯ জনের মৃত্যু না খেতে পেয়ে, ধ্বংসস্তূপে লাশের স্তূপ

গাজার আকাশে এখন শুধু যুদ্ধবিমানের গর্জন নয়, ক্ষুধার কান্নাও ছড়িয়ে পড়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার বিমান ও স্থল হামলার পাশাপাশি খাদ্য সংকটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পুরো গাজা উপত্যকা।

গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮৫ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি। এই মৃত্যুর মিছিলের মধ্যে সবচেয়ে করুণ হলো ২৯ জন শিশু ও বৃদ্ধের মৃত্যু, যারা অনাহারে দিন কাটিয়ে অবশেষে প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২৪৭ জন।

ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আছে অসংখ্য লাশ

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে আল-জাজিরার রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধু বৃহস্পতিবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ৮৭ জন। এর বাইরেও বিভিন্ন স্থান থেকে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ১০৭টি মৃতদেহ।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপে আরও বহু লাশ চাপা পড়ে আছে। ইসরায়েলি হামলার ভয়াবহতা এতটাই যে অনেক এলাকায় উদ্ধার কাজ চালানোও সম্ভব হচ্ছে না।

খাদ্যসংকটে মৃত্যু — ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে, গত কয়েক দিনে অনাহারে থাকা ২৯ জন শিশু ও বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মৃত্যুকে ‘ক্ষুধাজনিত প্রাণহানি’ হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। গাজার প্রায় ২০ লাখ মানুষ চরম খাদ্য সংকটে রয়েছেন, যারা না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন।

উত্তর গাজা ধ্বংসস্তুপে পরিণত, ঘরছাড়া তিন লাখ মানুষ

গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজা অঞ্চলের এক হাজারেরও বেশি বাড়িঘর ধ্বংস করেছে। বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে প্রায় তিন লাখ মানুষকে, যাদের গাজা সিটিতে ঠেলে দেওয়া হয়েছে — যেখানে নেই আশ্রয়, নেই খাদ্য, নেই চিকিৎসা।

পাঁচ মাসে নিহত ৫৩,৮০০+, আহত ১,২২,১৯৭

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৫৩ হাজার ৮০০ জন, আহত হয়েছেন এক লাখ ২২ হাজার ১৯৭ জন। প্রতিদিন এই সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

যুদ্ধবিরতি ছিল ক্ষণস্থায়ী, ফের শুরু রক্তপাত

গত ১৯ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরায়েল সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। কিন্তু মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার ও হামাসের অবস্থান নিয়ে মতানৈক্যের জেরে ফের শুরু হয় বিমান হামলা।

১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া নতুন দফায় হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩,৬০০ জন, আহত হয়েছেন আরও ১০,০০০।

No comments found


News Card Generator