বৃহস্পতিবার রাতে ইসরাইলি সেনাবাহিনী ঘোষণা করেছে যে, তারা গাজার দক্ষিণে রাফাহ শহরের শাবৌরা এলাকায় স্থল অভিযান চালাচ্ছে। এই অঞ্চলটি মিসরের সীমান্তের কাছে অবস্থিত। একইসঙ্গে তারা গাজার উত্তরের বেইত লাহিয়া এলাকার উপকূলীয় রুটেও স্থল অভিযান পরিচালনা শুরু করেছে।
হামাসের প্রতিক্রিয়া ও পাল্টা হামলা হামাস জানিয়েছে, তারা ইসরাইলের দিকে রকেট নিক্ষেপ করেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ইসরাইলি হামলার প্রথম ৪৮ ঘণ্টায় হামাসের পক্ষ থেকে কোনো পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তবে বৃহস্পতিবার ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের ফলে দেশটির কেন্দ্রস্থলে সাইরেন বাজতে শুরু করে।
ইসরাইলি বাহিনী জানিয়েছে, তাদের সেনারা গত ২৪ ঘণ্টা ধরে গাজার উত্তর ও দক্ষিণ অংশকে পৃথককারী নেটজারিম করিডোরে বাফার জোন সম্প্রসারণের অভিযান পরিচালনা করছে। এই করিডোর সম্প্রসারণের ফলে গাজার বিভিন্ন অংশে চলাচলে ফিলিস্তিনিদের আরও বাধার মুখে পড়তে হবে।
নাগরিকদের জন্য নতুন নির্দেশনা ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ গাজার বাসিন্দাদের প্রধান রুট সালাহউদ্দিন সড়ক এড়িয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছে এবং উপকূলীয় অঞ্চল ধরে চলাচলের পরামর্শ দিয়েছে। এই নির্দেশনার ফলে গাজার সাধারণ মানুষের চলাচলে নতুন সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।
গত মঙ্গলবার ভোরে ইসরাইলি বিমান হামলার প্রথম দিনে ৪০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন, যা এই সংঘাতের সবচেয়ে ভয়াবহ দিনগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এরপর থেকেই ইসরাইল একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
গাজায় ক্রমাগত হামলা ও সংঘর্ষের ফলে পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করেছে, এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা চরম সংকটে পড়েছে। আন্তর্জাতিক মহল এই সংঘাত বন্ধে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানালেও এখনো শান্তির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।



















