close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

গাজায় ইসরাইলের নারকীয় হামলা, নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াল!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে। একের পর এক হামলায় নিহত হয়েছে আরও ১২ জন ফিলিস্তিনি, যার মধ্যে রয়েছেন নারীও। সামগ্রিকভাবে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা ৫০ হা..

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলা আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর আগ্রাসনে সোমবার (২৪ মার্চ) আরও ১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারীও রয়েছেন। এদিকে, সামগ্রিকভাবে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

গাজার চিকিৎসা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ভোর থেকে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ১২ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে খান ইউনিসে শরণার্থী শিবিরে তাঁবুতে বোমা হামলায় নিহত ছয়জন এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরের মাইন এলাকায় একটি বাড়িতে হামলায় নিহত চারজন রয়েছেন।

এছাড়া, মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরেও ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় দুজন নারী নিহত হয়েছেন। আলজাজিরা আরবির সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, গাজার খান ইউনিসের কিজান রাশওয়ান এলাকায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতে রাতের আঁধারে ইসরাইলি বাহিনী ভয়াবহ বোমা হামলা চালিয়েছে, যেখানে ছয়জন নিহত হয়েছেন এবং আরও অনেক আহত হয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রোববার পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ২১ জনে পৌঁছেছে। আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ২৭৪ জনে। ইসরাইলি বাহিনীর হামলার ফলে প্রতিদিনই ভয়াবহ মানবিক সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলে হামলা চালিয়ে প্রায় ১২০০ মানুষকে হত্যা ও ২৫১ জনকে জিম্মি করেছিল। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় সেদিন থেকেই ইসরাইল গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে।

দীর্ঘ ১৫ মাসের সামরিক অভিযানের পর আন্তর্জাতিক চাপে ইসরাইল গত ১৯ জানুয়ারি সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। তবে, গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে মতবিরোধের কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে পুনরায় ইসরাইলি বাহিনী সেখানে বিমান হামলা শুরু করে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত পাঁচ দিনে (মঙ্গলবার থেকে রোববার) ইসরাইলি বাহিনীর স্থল ও বিমান হামলায় ৭০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ১২০০ জনেরও বেশি।

এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহল ইসরাইলের এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধের জন্য তীব্র নিন্দা ও চাপ সৃষ্টি করছে। তবে, এখনো যুদ্ধবিরতির কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।

Không có bình luận nào được tìm thấy