ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির আনন্দে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা, পশ্চিম তীরে হামলা ইসরাইলের

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনিরা মুক্তির আনন্দে মেতে ওঠে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দিলে, পুরো পশ্চ
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনিরা মুক্তির আনন্দে মেতে ওঠে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দিলে, পুরো পশ্চিম তীরের জনগণ রাস্তায় নেমে আসে উদযাপন করতে। তবে এই আনন্দের মধ্যে ঢুকে পড়ে ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর চরম আক্রমণ, যা পুরো পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে তোলে। রোববার সন্ধ্যায়, অবৈধ ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা পশ্চিম তীরের সিনজিল শহরে আক্রমণ চালায়। তাদের লক্ষ্য ছিল ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির উদযাপন ব্যাহত করা এবং এই আনন্দের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করা। সিনজিল শহরের উত্তর উপকণ্ঠে হামলা চালিয়ে তারা চারটি ফিলিস্তিনি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়, পাশাপাশি চারটি বাড়িতে পাথর ছুঁড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এই হামলা প্রতিরোধ করতে শহরের বাসিন্দারা একত্রিত হয় এবং কোনো সেনাবাহিনী সেখানে হস্তক্ষেপ করেনি। তবে, আশ্চর্যজনকভাবে, এই হামলার ফলে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে, ফিলিস্তিনিরা উত্তেজনা ছাড়িয়ে তাদের বন্দিদের মুক্তি উদযাপন করছিল। গাজা থেকে মুক্তির খবর পাওয়ার পর, মধ্য পশ্চিম তীরে ইসরাইলের ওফার কারাগারের সামনে শত শত ফিলিস্তিনি পরিবার জড়ো হয় মুক্তি প্রাপ্ত বন্দিদের স্বাগত জানাতে। গাজার এই যুদ্ধের প্রেক্ষিতে, ইসরাইলি হামলায় ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালের পর প্রায় ৪৭ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন, এবং আহত হয়েছেন এক লাখ ১০ হাজারেরও বেশি। এই দীর্ঘস্থায়ী সংঘর্ষের মধ্যে, বন্দিদের মুক্তি একটি বড় সাফল্য হলেও, মুক্তির আনন্দের মাঝে ইসরাইলের সহিংসতা আবারো প্রমাণ করে, যে এই অঞ্চলটির জনগণের শান্তি এখনও অনেক দূরে। বিবৃতির মাধ্যমে ফিলিস্তিনিরা তাদের দাবি জানায় যে, এই মুক্তির ঘটনা শুধুমাত্র একটি ছোট জয় হলেও, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আরো অনেক কাজ করতে হবে।
لم يتم العثور على تعليقات