ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার বিরুদ্ধে এবং নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে রাজধানী ঢাকায় বৃহৎ প্রতিবাদ র্যালি করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে নয়াপল্টন থেকে এই র্যালি শুরু হয়।
র্যালিটি শান্তিনগর, মালিবাগ মোড়, মৌচাক ও মগবাজার হয়ে বাংলামটরে গিয়ে শেষ হয়।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির আয়োজিত এই কর্মসূচিতে দুপুরের পর থেকেই নয়াপল্টন অফিস চত্বরে জড়ো হতে থাকেন দলের নেতাকর্মীরা। তাদের কারো হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা, কারো মাথায় প্রতিবাদের ফিতা বাঁধা, আবার কারো হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড—যাতে লেখা ছিল “গাজা হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করো”, “ফিলিস্তিনের পক্ষে, বর্বরতার বিরুদ্ধে” ইত্যাদি।
এই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ র্যালিকে ঘিরে নয়াপল্টন ও র্যালি রুটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ছিল লক্ষ্যণীয়। পুলিশ, র্যাব এবং সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন।
র্যালি শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত এক সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে এবং দলের প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় এই সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
মির্জা আব্বাস বলেন, “আজ আমরা ফিলিস্তিনের জন্য কাঁদছি, কিন্তু বিশ্ববিবেক চুপ কেন? ইসরায়েল যে গণহত্যা চালাচ্ছে, তা ইতিহাসের জঘন্যতম অপরাধ। বিএনপি এই বর্বরতার বিরুদ্ধে কথা বলবে, মানুষকে জাগাবে।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।
উল্লেখযোগ্যভাবে উপস্থিত ছিলেন—বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, আব্দুস সালাম পিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ।
র্যালিতে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ফিলিস্তিন ইস্যুতে দলীয় রাজনৈতিক সীমারেখা অতিক্রম করে সাধারণ মানুষের আবেগেও যেন সাড়া ফেলেছে এই কর্মসূচি।
এই কর্মসূচি থেকে বিএনপি বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে—ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে এবং ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে।
এদিন ঢাকার ব্যস্ততম এলাকাগুলোর রাস্তায় ফিলিস্তিনের পতাকা উড়েছে, স্লোগানে মুখরিত হয়েছে রাজপথ, এবং বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে—এই প্রতিবাদ থেমে থাকবে না, বরং আরও বিস্তৃত আকারে ছড়িয়ে পড়বে দেশের প্রতিটি প্রান্তে।



















