ফেব্রুয়ারির আগেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত — এমনটাই বলছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। দলের যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি সোমবার (৩০ জুন) এক সভায় এ মন্তব্য করেন। কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখেন তিনি।
এ্যানি বলেন, “আমরা মনে করি, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির আগেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া দরকার। কারণ জনগণের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা পরিবর্ন চায়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণে তারেক রহমান ও মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে লন্ডনে অনুষ্ঠিত বৈঠক জাতির মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার করেছে।
তবে, এ সময় তিনি একটি স্পষ্ট বার্তাও দেন—সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (PR) পদ্ধতি বিএনপি কোনোভাবেই গ্রহণ করবে না। “আমাদের দল মনে করে, এই পদ্ধতিতে জনগণের আসল মতামত প্রতিফলিত হয় না। এটি আওয়ামী লীগের জন্য পথ সুগম করার ফাঁদ,— মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও প্রবীণ নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি সরাসরি অভিযোগ করেন, “একটি দল অত্যন্ত সুকৌশলে বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ করে যাচ্ছে। তারা ভেবেছে আমাদের ধমক দিয়ে দমন করা যাবে। কিন্তু সেটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন ঘিরে যে ষড়যন্ত্র চলছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। ১১ মাস পার হয়ে গেল, কিন্তু নির্বাচন নিয়ে এখনো নিশ্চিত কিছু নেই। অথচ আমরা দেখছি, কিছু পিএস-এপিএস (ব্যক্তিগত সহকারী) হঠাৎ করে কয়েক শ কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন। এটাই কি স্বাভাবিক?”
বক্তারা বারবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলেন। এ্যানি বলেন, “এই দেশের মানুষ আর একতরফা ভোট চায় না। তারা চায় সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন। তাই সময় থাকতে সরকারকে সাবধান হতে হবে।”
তিনি বলেন, “আজকে এই সভা থেকে আমরা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই—জনগণের ভোটাধিকার ফেরাতে আমাদের আন্দোলন চলবে, এবং আগামী নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেই হবে।”
সাম্প্রতিক সময়ে তারেক রহমান ও ড. ইউনূসের বৈঠককে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। কেউ একে বিদেশি চাপের অংশ বললেও, বিএনপি নেতারা এটিকে ‘আশাবাদের বার্তা’ হিসেবে দেখছেন। তবে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা ও সরকারপন্থী কর্মকর্তাদের অস্বচ্ছ আচরণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা।



















