close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এ বেশ কয়েকটি পরিচিত প্রকাশনা সংস্থা প্যাভিলিয়নের জন্য বরাদ্দ পাচ্ছে না। বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মেলার নিয়ম-নীতি মেনেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তে বইপ্রেমী ও প্রকাশকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বিতর্কিত প্রকাশকদের তালিকা
বাংলা একাডেমির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হওয়া প্রকাশনীগুলোর মধ্যে রয়েছে—তাম্রলিপি, কাকলী প্রকাশনী, পাঠক সমাবেশ, পুঁথিনিলয়, সময়, মিজান পাবলিশার্স, চারুলিপি, জিনিয়াস পাবলিকেশন, নালন্দা, পার্ল পাবলিকেশন, বিশ্বসাহিত্য ভবন এবং শব্দশৈলী।
অন্যদিকে, অন্যপ্রকাশ, আগামী প্রকাশনী এবং অনুপম প্রকাশনীর প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ ছোট করার কথাও জানা গেছে।
প্রকাশকদের দাবি ও প্রতিক্রিয়া
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম জানিয়েছেন, একটি উপকমিটির বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে প্রকাশক প্রতিনিধি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।
তবে প্রকাশকদের একটি অংশ দাবি করছে, কিছু প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের কারণে প্যাভিলিয়ন থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। সময় প্রকাশনের প্রকাশক ফরিদ আহমেদ বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমির উচিত, এর সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়া।”
মানববন্ধন ও আন্দোলন
এ সিদ্ধান্তের পেছনে ভূমিকা রেখেছে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি, জাতীয়তাবাদী সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ এবং বাংলাদেশ সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি। এ সংগঠনগুলো এই প্রকাশকদের ‘স্বৈরাচারের দোসর’ হিসেবে চিহ্নিত করে বইমেলায় নিষিদ্ধের দাবি জানায়।
বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হাসান বলেন, “এটা আমাদের সাধারণ প্রকাশকদের বিজয়। বাংলা একাডেমিকে ধন্যবাদ জানাই। তবে অন্যপ্রকাশ, আগামী এবং অনুপম প্রকাশনীকেও ছাড় দেওয়া যাবে না।”
স্টল ভাড়ার দাবিতে চাপ
মানববন্ধনকারী সংগঠনগুলো স্টল ভাড়া অর্ধেক করার দাবি জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মতে, মেলার পরিবেশ আরও গণমুখী করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
নতুন বিতর্কের জন্ম
এই সিদ্ধান্ত বইমেলার ইতিহাসে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ নিয়ে বাংলা একাডেমির এ পদক্ষেপ রাজনৈতিক প্রভাবিত কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
বইমেলার এই ঘটনা প্রকাশনা শিল্পে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয় বাংলা একাডেমি।
Ingen kommentarer fundet



















