close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

এক রাতেই ভারতের ৩৬টি স্থানে ৪০০ বার হা ম লার চে ষ্টা করে পাকি স্তান!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
পাকিস্তানের ভয়ানক পরিকল্পনা! এক রাতেই ভারতের ৩৬টি স্থানে চালায় অন্তত ৪০০ হামলার চেষ্টা—ড্রোন, যুদ্ধবিমান আর গোলাবর্ষণে কাঁপে সীমান্ত। তুরস্ক থেকে আনা ড্রোন, গুরুদ্বারে হামলার আলামত, আর কর্তারপুর করিডর..

পাকিস্তানের আগ্রাসী রাত: এক রাতেই ৪০০ বার ভারতের আকাশে ঢোকার চেষ্টা!

উপমহাদেশের ভূ-রাজনীতিতে উত্তেজনা চরমে! এক বিস্ময়কর ও আতঙ্কজনক ঘটনায় ভারতের সেনাবাহিনী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, মাত্র এক রাতেই পাকিস্তান ভারতের ৩৬টি স্থানে অন্তত ৩০০ থেকে ৪০০ বার হামলার চেষ্টা চালিয়েছে। এই হামলার বেশিরভাগই ছিল অত্যাধুনিক ড্রোনের মাধ্যমে, যার মধ্যে বেশ কিছু ছিল তুরস্ক থেকে আমদানি করা।

গত বৃহস্পতিবার (৮ মে) গভীর রাতে সীমান্ত পেরিয়ে আকাশপথে ভারতের একাধিক সেনাছাউনির দিকে আগ্রাসীভাবে এগিয়ে আসে ড্রোনের ঝাঁক। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “এই হামলা পরিকল্পিত এবং অত্যন্ত বিপজ্জনক ছিল। পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করে গোলাবর্ষণও চালায়।”


 ৪০০ ড্রোন, ৩৬টি লক্ষ্যবস্তু: শত্রু যেন যুদ্ধ ঘোষণার প্রস্তুতিতে!

তিনি আরও জানান, ভারতের আকাশসীমায় প্রবেশের চেষ্টা চালায় শত শত ড্রোন। সেনাবাহিনী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে অনেক ড্রোন গুলি করে নামাতে সক্ষম হয়েছে। প্রতিটি ড্রোন ভারতের বিভিন্ন সেনা-স্থাপনার ছবি ও তথ্য সংগ্রহে নিয়োজিত ছিল। ইতোমধ্যেই ধ্বংস হওয়া ড্রোনগুলো ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে ভয়ানক তথ্য—ড্রোনগুলো এসেছে তুরস্ক থেকে।

এত বিশাল আকারে ড্রোন হামলার চেষ্টা ভারতকে নিরাপত্তার দিক দিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে। ভারতের সশস্ত্র বাহিনী এখন আরও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।


 যুদ্ধবিমানও সক্রিয়! ভাটিন্ডা সেনাঘাঁটিতে হামলার চেষ্টা

ড্রোনের পাশাপাশি পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান ভাটিন্ডা সেনাঘাঁটিতে হামলার চেষ্টা করে। উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংহ বলেন, “পাকিস্তান একাধিকবার ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে এবং তাদের লক্ষ্য ছিল সেনাঘাঁটি ধ্বংস করা।”

তিনি আরও দাবি করেন, “পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে আসা এই হামলাগুলো পরিকল্পিত ও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এমনকি পাকিস্তান তাদের বেসামরিক বিমানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে, যা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল।”


 ধর্মীয় স্থানেও হামলার প্রমাণ! কর্তারপুর করিডর বন্ধের সিদ্ধান্ত

এই ঘটনার পর ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেন, “পাকিস্তান দাবি করলেও বাস্তব বলছে অন্য কথা। পুঞ্চ জেলার এক গুরুদ্বারে হামলার আলামত পাওয়া গেছে। পাকিস্তান বিশ্বমঞ্চে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।”

তিনি আরও জানান, পহেলগাঁও হামলাকে পাকিস্তান সাম্প্রদায়িক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত সরকার কর্তারপুর সাহেব করিডর দিয়ে চলমান সীমান্ত বাণিজ্য আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


 যুদ্ধের ছায়া কি ঘনাচ্ছে?

বিশ্লেষকদের মতে, এই অভূতপূর্ব ড্রোন হামলা এবং সীমান্ত উত্তেজনা দুই দেশকেই এক ভয়ংকর পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে পারে। ভারতের পক্ষ থেকে সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠকে উচ্চপর্যায়ের আলোচনাও হয়েছে।

Inga kommentarer hittades