close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

এক মিসাইলেই ইসরাইলের রাজধানীতে কাঁপাকাঁপি, তেল আবিবজুড়ে সাইরেন!..

Mamun Sorder  avatar   
Mamun Sorder
ইয়েমেনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের এক মিসাইলেই বেহুশ অবস্থায় পড়ে ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবের বাসিন্দারা। ইয়েমেনের প্রতিরোধ আন্দোলন যেন প্রতিজ্ঞা করেছে, ইসরায়েলিদের শান্তিতে ঘুমাতে দেবে না।..

তেল আবিবে ভোরের ঘুম কেড়ে নিল ইয়েমেনি মিসাইল, কাঁপছে ইসরাইলের রাজধানী!

ভোরবেলা হঠাৎ ছুটে চলা সাইরেন আর আতঙ্কিত নাগরিকদের দিকবিদিক ছোটার দৃশ্য—ইয়েমেনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের একটি মাত্র মিসাইলেই কেঁপে উঠলো তেল আবিব। ইসরায়েল এবার বুঝতে শুরু করেছে যুদ্ধের ভয়াবহতা।


 

তেল আবিবে এক মিসাইলে নেমে এলো ভোরের আতঙ্ক
ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবে শুক্রবার ভোরে ঘটে গেলো এমন এক ঘটনা, যা গোটা শহরকে মুহূর্তেই আতঙ্কিত করে তোলে। ইয়েমেনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ছোড়া একটি মাত্র মিসাইলেই কার্যত স্তব্ধ হয়ে পড়ে ইসরাইলের শান্তিময় সকাল। ঘুম ভেঙে গিয়ে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ে, শহরজুড়ে বেজে ওঠে এয়ার রেইড সাইরেন।

সূর্য ওঠার আগেই সাইরেনের শব্দে কেঁপে উঠলো শহর
স্থানীয় সময় সকাল ৫টা ৩০ মিনিটে, যখন সূর্য তখনও ভালোভাবে উঠেনি, ঠিক তখনই শুরু হয় সাইরেনের শব্দ। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে লোকজন তাদের বিছানা ছেড়ে ছুটতে থাকে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। শিশু থেকে বৃদ্ধ—সবাই আতঙ্কে ছুটে চলে যায় বাঙ্কারে, আশ্রয়কেন্দ্রে। অনেকেই ভয়ে ঘরেই বসে থাকে, কেউ কেউ আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় জানায় তাদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা।

ইসরাইলি সেনাবাহিনীর স্বীকৃতি
ইসরাইলের সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে যে ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি দূরপাল্লার মিসাইল তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় শনাক্ত হয় এবং সাইরেন সিস্টেম অনুযায়ী রাজধানীসহ আশেপাশের এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়। তারা দাবি করেছে, আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল সম্পূর্ণ সক্রিয় এবং হুমকিকে প্রতিহত করতে প্রস্তুত ছিল।

দখলদারদের রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছে ইয়েমেনি প্রতিরোধ
গাজায় গণহত্যা চালানোর অপরাধে আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত ইসরাইল কিছুদিন ধরেই প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পাল্টা প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। হুথি বিদ্রোহীরা একের পর এক ড্রোন ও মিসাইল হামলার মাধ্যমে দেখিয়ে দিচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি একতরফা থাকছে না আর। ইয়েমেনি প্রতিরোধের এ ধরনের হামলা ইসরাইলের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।

সামরিক শক্তিতে আঘাত নয়, মনোবলে ধাক্কা
এই হামলা সামরিকভাবে বড় ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি না করলেও, তা মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে বড় ধরনের ধাক্কা দিয়েছে ইসরাইলকে। রাজধানীর মত একটি সুরক্ষিত শহরে যদি এভাবে মিসাইল এসে পড়ে, তবে সাধারণ জনগণের আস্থা কতটুকু টিকে থাকবে তা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে।

মার্কিন জবাব: বিমান হামলায় বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি
ইয়েমেনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রতিহত করতে যুক্তরাষ্ট্রও নেমে পড়েছে সরাসরি সংঘর্ষে। মার্কিন বিমান বাহিনী ইয়েমেনের বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে। যদিও এসব হামলায় মূলত বেসামরিক লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিরোধ যোদ্ধারা এখনও তাদের শক্ত অবস্থানে অটল রয়েছে, এবং কোনো বড় ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েনি বলে জানা গেছে।

আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বেড়ে গেল
এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। একদিকে গাজায় যুদ্ধ, অন্যদিকে ইয়েমেন থেকে মিসাইল হামলা—সব মিলিয়ে ইসরাইল এখন বহুমুখী সংকটে। দেশটির নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, “আমরা এখন একেবারে নতুন ধরনের যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে আছি। প্রতিটি মুহূর্তেই নতুন হুমকি এসে হাজির হচ্ছে।”

সাম্প্রতিক হুমকির নতুন ধারা
এক সময় যা ছিল শুধু গাজা সীমান্তে লড়াই, এখন তা ছড়িয়ে পড়েছে লেবানন, সিরিয়া, ইরাক এমনকি ইয়েমেন পর্যন্ত। মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্রে এক বড় পরিবর্তনের আভাস দেখা যাচ্ছে, যেখানে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো ক্রমেই একত্রিত হয়ে নতুন রণকৌশলে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইল ও তার মিত্রদের জন্য এটি এক গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।


এই এক মিসাইল ইসরাইলকে সামরিকভাবে হয়তো ভেঙে দিতে পারেনি, কিন্তু মনস্তাত্ত্বিকভাবে দেশের জনগণকে এক নতুন আতঙ্কে ফেলেছে। ইয়েমেনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের একের পর এক হামলা এখন ইসরায়েলিদের মনে ঘুম হারাম করে দিয়েছে। সামনের দিনগুলোতে এই যুদ্ধ আরও কী রূপ নেয়, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

Keine Kommentare gefunden


News Card Generator