আজ বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে শুরু হলো উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষা। ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। শিক্ষাজীবনের অন্যতম বড় ধাপ অতিক্রম করতে শিক্ষার্থীদের এই পরীক্ষা শুরু হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যবিধি এবং বিশেষ নজরদারির মধ্যে দিয়ে।
আজকের পরীক্ষার বিবরণ
এইচএসসি পরীক্ষায় আজ বাংলা প্রথম পত্র, আলিম ধারার শিক্ষার্থীদের কোরআন মাজিদ এবং এইচএসসি ভোকেশনাল শাখায় বাংলা বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টাব্যাপী চলবে এই লিখিত পরীক্ষা। এই লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ১০ আগস্ট। এর পর ২১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য সরকার ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
বর্তমানে দেশে করোনাভাইরাস এবং ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়ছে। তাই এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে কঠোর পদক্ষেপ।
প্রত্যেকটি কেন্দ্রে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান, প্রবেশপথে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা এবং কেন্দ্রের চারপাশে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
বিশেষ করে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রতিটি কেন্দ্রে আগেভাগেই মশক নিধনের ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। পরীক্ষার দিনগুলোতে প্রতিনিয়ত কেন্দ্রের ভেতরে এবং আশপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার নির্দেশনা রয়েছে। কেন্দ্রের পরিবেশ যেন স্বস্তিদায়ক ও নিরাপদ থাকে, সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে।
পরীক্ষার সময় হঠাৎ কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক সেবা দেওয়ার জন্য প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে একটি করে মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রের বাইরে ভিড় বা জটলা যেন না হয়, তা নিশ্চিত করতে মোতায়েন থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অভিভাবকদেরও বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে যেন তারা কেন্দ্রের বাইরে ভিড় না করেন। পাশাপাশি পরীক্ষার সময় সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছে সংশ্লিষ্ট সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
এইচএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে লাখো শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে। তাই সরকার, শিক্ষা বোর্ড, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থী—সবাই যেন নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন, সেটিই প্রত্যাশা। এবার শুধু ভালো ফল নয়, চাই নিরাপদ ও স্বচ্ছ পরীক্ষা।