দীর্ঘ ১৮ বছর পর অবশেষে বাংলাদেশে ফিরছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) লন্ডনের দ্য সিটি প্যাভিলিয়ন হলে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় তিনি নিজেই এই চূড়ান্ত ঘোষণা দেন। এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার ফেরার ইঙ্গিত দিলেও, এবার স্বয়ং তারেক রহমানের মুখ থেকে এই ঘোষণা আসায় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে।
বক্তব্যের শুরুতে তারেক রহমান বলেন, "আপনারা সবাই জানেন যে আমি প্রায় ১৭-১৮ বছর আপনাদের সাথে প্রবাসে ছিলাম। কিন্তু আগামী ২৫ তারিখে ইনশাআল্লাহ আমি দেশে চলে যাচ্ছি।" তার এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই পুরো মিলনায়তন করতালিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। তবে সমর্থকদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, বিদেশের বিমানবন্দরে যেন কেউ ভিড় না করেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, বিমানবন্দরে অতিরিক্ত মানুষের উপস্থিতি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, যা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার কারণ হতে পারে।
বক্তব্যকালে তারেক রহমান ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান নিয়ে গভীর বিশ্লেষণধর্মী কথা বলেন। তিনি স্পষ্ট করেন যে, স্বৈরাচারী সরকারের পতন কোনো নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠীর একক অর্জন নয়, বরং এটি সাধারণ ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক ও শ্রমিকের সম্মিলিত সংগ্রামের ফল। তিনি মনে করেন, মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি না থাকলে কোনো ফ্যাসিবাদই ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে না। তবে এই বিজয় ধরে রাখাকে তিনি আন্দোলনের চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
ষড়যন্ত্রের বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করে তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত এখনো থেমে নেই। একাত্তর বা পঁচাত্তরের সেই পুরনো অপশক্তি আজও সক্রিয় রয়েছে। তাই বিএনপি ও দেশের সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থেকে এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনে বিএনপি সরকার গঠন করে একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।



















