close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

এবার যু দ্ধে র ময়দানে ই রা নে র ভ য় ঙ্ক র ক্ষে প ণা স্ত্র খাইবার-শেকান..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মোতায়েন করেছে ভয়ঙ্কর ক্ষেপণাস্ত্র ‘খাইবার-শেকান’। যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলার জবাবে পাল্টা আগ্রাসনে উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য। বিপদে অন্যান্য দেশও।..

মধ্যপ্রাচ্য যেন এক বিস্ফোরক পিপে। যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলায় যখন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংসের মুখে, তখন পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে ভয়ঙ্কর এক সিদ্ধান্ত নিল তেহরান। ইরান এবার মোতায়েন করল তাদের অন্যতম শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র — ‘খাইবার-শেকান’।

এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে নজরকাড়া যুদ্ধ পরিস্থিতি গড়ে উঠেছে ইসরায়েল ও ইরানকে ঘিরে। যুদ্ধের ময়দানে যে ক্ষেপণাস্ত্রটি নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে, সেটি ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (IRGC) সরাসরি ইসরায়েল লক্ষ্য করে মোতায়েন করেছে।

IRGC এক ঘোষণায় জানায়, এটি ইসরায়েলবিরোধী তাদের ২০তম ধাপে পরিচালিত হামলা। এবং এই দফায় তারা যুদ্ধের ইতিহাসে নতুন মাত্রা যোগ করল ‘খাইবার-শেকান’ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে — যা আগের যেকোনো অস্ত্রের চেয়ে ভয়ঙ্কর ও উন্নত। এর গতি, পাল্লা এবং বিধ্বংসী ক্ষমতা নিয়ে পশ্চিমা বিশ্লেষকরাও শঙ্কিত।

এই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা এসেছে এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। সম্প্রতি ইসরায়েল একের পর এক ইরানের সামরিক ঘাঁটি, পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র এবং এমনকি সাধারণ আবাসিক এলাকায়ও বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে প্রাণ গেছে বহু নিরীহ নাগরিকের।

তেহরান বলছে, “যখন শান্তিপূর্ণ আলোচনার সুযোগ ছিল, তখন যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালিয়ে বিশ্বকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে।”

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে স্পষ্ট ভাষায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ জানায়। তারা একে আখ্যা দেয় “কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মাঝপথে অতর্কিত আগ্রাসন” হিসেবে। আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল মিলে পুরো অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলছে।

বিশ্লেষকদের মতে, খাইবার-শেকান একটি সোলিড ফুয়েল ব্যালিস্টিক মিসাইল যা প্রায় ১৪৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এটি একই সঙ্গে দ্রুতগামী, প্রতিরোধ-ভেদী ও যথেষ্ট বিধ্বংসী।

এই ক্ষেপণাস্ত্রটি যদি সত্যিই ইসরায়েলের কোনো ঘাঁটিতে আঘাত হানে, তাহলে তা হতে পারে বড়সড় ধ্বংসযজ্ঞের সূচনা।

ইরান ও ইসরায়েল সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে এর প্রভাব পড়বে পুরো অঞ্চলে। এমনকি সৌদি আরব, লেবানন, কাতার, ইরাকসহ আশপাশের অনেক দেশই নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও চীন ইতোমধ্যে উদ্বেগ জানিয়ে উভয়পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে যদি দুই পক্ষের কেউ এখন পিছু না হটে।”

ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এমনিতেই তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ। তার ওপর ইসরায়েলের সরাসরি আগ্রাসন ও ইরানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া যুদ্ধের সূচনা হয়ে উঠছে কি না — তা নিয়েই এখন দুনিয়াজুড়ে উদ্বেগ।
‘খাইবার-শেকান’ এখন আর শুধু একটি ক্ষেপণাস্ত্র নয় — এটি হয়ে উঠেছে ভবিষ্যতের যুদ্ধের ভয়াবহ পূর্বাভাস।

No comments found


News Card Generator