ইরানের পশ্চিমাঞ্চলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ব্যাপক আক্রমণ চালিয়েছে বলে রোববার (২২ জুন) জানা গেছে। বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বিমান বাহিনী দেশটির একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তবে হামলার সুনির্দিষ্ট ফলাফল এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও অজানা রয়েছে।
এর আগে ইরান ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরান ২০ থেকে ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, যার বেশিরভাগ ইসরায়েলি বাহিনী ভূপাতিত করেছে। এই রকেট হামলায় অন্তত ১৬ জন ইসরায়েলি আহত হয়েছেন।
উত্তেজনার মাঝে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হানার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতির উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন। তিনি বলেন, ‘ইরানকে এখনই শান্তি স্থাপন করতে হবে, না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় আঘাত আসবে।’
স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১০টায় হোয়াইট হাউস থেকে দেয়া ভাষণে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আজ রাতে ইরানে হামলা ছিল অসাধারণ সামরিক সাফল্য। আমাদের লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ ক্ষমতা শেষ করে দেওয়া এবং সন্ত্রাসের মদদদাতা হিসেবে বিশ্বে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় এই দেশের পারমাণবিক হুমকি বন্ধ করা।’
হামলার পর ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ট্রাম্পও পাল্টা নেতানিয়াহুকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘আমরা এক টিম হিসেবে কাজ করেছি।’ এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মাত্রা আরও বৃদ্ধি করেছে এবং ভবিষ্যতে সংঘাত আরও জোরালো হওয়ার আশঙ্কা তৈরি করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আক্রমণগুলো ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে নতুন একটি অধ্যায় সূচনা করেছে, যা সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। আন্তর্জাতিক মহল এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থান নিয়েছে, যেন উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এবং কোনো বড় যুদ্ধে পরিণত না হয়।
বিশ্বের অগ্রণী দেশগুলো এই সংকট মোকাবিলায় মধ্যস্থতা করতে চাইলেও ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে দ্বন্দ্ব তীব্র হওয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় এখনো কঠিন সময় দেখা যাচ্ছে। তবে মা