close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

এ কোন সাদিয়া আয়মান, ভাইরাল ছবির নেপথ্যে কে?

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি কিছু ছবি ভাইরাল হয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে ছবিগুলোর নারী হচ্ছেন জনপ্রিয় ছোট পর্দার অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। তবে ছবিগুলোর সত্যতা নিয়ে উঠেছে নান..

ভাইরাল ছবির পেছনের রহস্য: সাদিয়া আয়মান না কি এআই?

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া কয়েকটি ছবি ঘিরে তৈরি হয়েছে তুমুল বিতর্ক। ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, এক তরুণী সাঁতারের পুলে ভেজা পোশাকে দাঁড়িয়ে আছেন। ছবিগুলোর ক্যাপশনে দাবি করা হচ্ছে, তিনি ছোট পর্দার পরিচিত মুখ, জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। এই দাবিকে ঘিরেই জন্ম নিয়েছে নানা প্রশ্ন আর মতবিরোধ।

ছবির শুরু কোথা থেকে?

একটি ফেসবুক পেজ প্রথম ছবিগুলো শেয়ার করে এবং ক্যাপশনে লেখে, "জাতির ক্রাশ ভাইরাল প্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান"। এরপরই ছবিগুলো ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে। কেউ মজা করে শেয়ার করছেন, কেউ নিন্দা করছেন, আবার অনেকে ছবির সত্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন।

কে কী বলছে?

এই ভাইরাল ছবিগুলো নিয়ে সাধারণ ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়াও ছিল নানাবিধ।

  • রাজকুমারী লিপু মন্তব্য করেছেন: “কি একটা অবস্থা!”

  • তাহমিনা তাবাসসুম লিখেছেন: “ভালোই উন্নয়ন হচ্ছে দিন দিন।”

  • শামিমা পারভিন সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন: “এতো ভালো এডিট, কিন্তু বাঙালির চোখে ফাকি দেওয়া যাই না ব্রো।”

  • কেউ কেউ আবার হাস্যরস মিশিয়ে লিখেছেন: “আটার বস্তা ক্রাশ হয় কীভাবে?”

এডিট না কি এআই প্রযুক্তি?

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ছবিগুলো হয়তো পুরনো কোনো ফটোশুট থেকে নেওয়া বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। বর্তমান সময়ে AI দিয়ে বাস্তবসম্মত ছবি তৈরি করা কঠিন কিছু নয়। ফলে ছবিগুলোর সত্যতা নিয়ে সংশয় রয়েই যাচ্ছে।

অভিনেত্রীর নীরবতা বাড়াচ্ছে রহস্য

এদিকে সাদিয়া আয়মান বা তার কোনো ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তার ভেরিফায়েড ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টেও এ বিষয়ে নীরবতা বজায় রয়েছে। মিডিয়ার পক্ষ থেকেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

আগেও ঘটেছে এমন ঘটনা

এটি নতুন কিছু নয়। এর আগেও চিত্রনায়িকা পরী মনিকে ঘিরে এমনই বিভ্রান্তিকর ছবি ভাইরাল হয়েছিল। পরবর্তীতে রিউমর স্ক্যানার বাংলাদেশ নামে একটি ফ্যাক্ট চেকিং সংগঠন জানায়, ছবিগুলো এডিটেড এবং পরী মনির নয়। অন্য নারীর দেহে পরীর মুখ বসিয়ে তা ছড়ানো হয়েছিল।

শেষ কথা

বর্তমানে প্রযুক্তির মাধ্যমে খুব সহজেই যেকোনো চেহারা অন্য কারো শরীরে বসিয়ে দেওয়া সম্ভব। ফলে শুধুমাত্র ছবি দেখে কাউকে চিনে ফেলা বা তার নামে প্রচার চালানো অত্যন্ত বিপজ্জনক। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত সত্যতা যাচাই ও অভিনেত্রীর পক্ষ থেকে স্পষ্ট বক্তব্য জরুরি—নইলে এ ধরনের গুজব চলতেই থাকবে।

कोई टिप्पणी नहीं मिली


News Card Generator